বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
দরজায় কড়া নাড়ছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৯ তম জাতীয় সম্মেলন। শীর্ষ নেতৃত্ব বাছাইয়ে শুরু হয়েছে নানা সমীকরণ ও হিসাব নিকেশ। এ হিসাব নিকাশে রসদ জোগাচ্ছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এক নম্বর ইউনিট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সম্মেলন। নানা নাটিকীয়তার মধ্য দিয়ে ২৮ তম কাউন্সিলের ২ বছর ১০ মাস পর গত ৫ এপ্রিল ২০১৮ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ আগামী ১১ ও ১২ মে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করেন। তার আগে ২৪ এপ্রিল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, ২৬ এপ্রিল ঢাকা মহানগর উত্তর এবং ২৯ এপ্রিল প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করেন। তার পর থেকেই বেড়ে গেছে ছাত্র রাজনীতির আতুর ঘর মধুর ক্যান্টিনের কর্ম-ব্যস্ততা। শুরু হয়েছে শীর্ষ নেতৃত্ব প্রত্যাশীদের দৌঁড় ঝাপ এবং লবিং। ধারনা করা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন অনেকটাই নির্ভর করবে কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগের নেতা নির্বাচনের উপর। বরাবরের মত প্রাধান্য পাবে আঞ্চলিকতার বিষয়। সেই সাথে যুক্ত হবে প্রার্থীদের পারিবারিক রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা। ইতিমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যাপারে খোঁজ খবর নিচ্ছে গোয়েন্দা সংস্থা। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সম্মেলনকে ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে উৎসবের আমেজ। খুব সকালেই ঘুম ভাঙছে মধুর ক্যান্টিনের আর জেগে থাকছে মধ্যরাত অবধি। ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান ও সাবেক নেতৃবৃন্দের অনেকেই মনে করেন বরাবরের মত সমীকরণ অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ নেতৃত্ব নির্বাচিত হতে পারে বৃহত্তর ফরিদপুর,বরিশাল কিংবা খুলনা বিভাগ থেকে। আবার, বিগত দুইটি কমিটিতে চট্টগ্রাম, বৃহত্তর কুমিল্লা কিংবা বৃহত্তর উত্তরবঙ্গ থেকে শীর্ষ নেতৃত্ব না আসায় এবার আশাবাদী এসব অঞ্চলের প্রার্থীরা।অনেক সময় কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে ঢাবি ছাত্রলীগের নেতৃত্ব বাছাই করা হয় বলে এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ঢাবি ছাত্রলীগের অনেকেই এবং এ ব্যাপারে তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তাদের দাবি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কমিটি থেকেই নির্বাচিত করা হোক শীর্ষ নেতৃত্ব।তবে সব হিসাব-নিকাশ এবং শীর্ষ নেতৃত্বের নাম জানতে অপেক্ষা করতে হবে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন পর্যন্ত।
ঢাবি সম্মেলনে শীর্ষ নেতৃত্বের আলোচনায় যারা :
ঢাবি শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদে এগিয়ে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মোহাম্মদ জাবেদ হোসেন, সহ-সভাপতি বিদ্যুত শাহরিয়ার কবির, সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল জুবায়ের ভুঁইয়া, সহ- সভাপতি রুম্মান হোসেইন, সহ-সভাপতি হাসানুর রহমান হাসু, আরিফুল ইসলাম আরিফ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক,আব্দুল হামিদ, মুহসিন হল শাখার সভাপতি সরকার জহির রায়হান, সাধারণ সম্পাদক- মেহেদি হাসান সানি, এস এম হল শাখার সভাপতি তাহসান আহমেদ, এফ এইচ হল ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, জহরুল হক হলের সভাপতি সোহানুর রহমান,সাধারণ সম্পাদক আসিফ তালুকদার, জসীম উদ্দিন হল শাখার সাধারণ সম্পাদক শাহেদ খান , সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের সভাপতি সারোয়ার হোসেন সহ অনেকে। তাছাড়া, অতীতের মত কেন্দ্রীয় কমিটি থেকেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতা নির্বাচন করা হতে পারে বলে অভিমত অনেকের।