বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির নেতা আবুল কাউসার আশা বলেছেন, আপনার সবাই জেনেছেন গত ৫আগস্ট বাংলাদেশে অভূতপূর্ব ছাত্র জনতার বিপ্লব হয়েছে। এই বিপ্লবের সাথে সাথে একদল সন্ত্রাসী ও চাদাঁবাজরা মাঠে নেমে পড়েছে। মাঠে নেমে তাদের স্বার্থসিদ্ধি করার চেষ্টা করছে। শত শত ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা। আমি আমার প্রিয় ভাই আমানতকে হারিয়েছে। সেই সাথে বাংলাদেশে স্কুল কলেজে পড়–য়া অনেক ছাত্র শাহাদাৎ বরনের মধ্য দিয়ে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটিয়েছে। গণমাধ্যম অনেক সাহসিকতার সহিত অনেক নিউজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু এই স্বাধীনতা নতুন বোতলে পুরান মদ ঢালার জন্য হয়নি। আমরা চেয়েছি বৈষম্যমুক্ত একটি সমাজ। এই সমাজে ব্যবসায়ী নির্বিঘ্নে ব্যবসা বানিজ্য করবে। ছাত্ররা লেখাপড়া করবে, চাকরিজীবীরা চাকরি করবে, প্রশাসন নিজেদের শপথ অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
কনিবার ৭ সেপ্টেম্বর শহরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সভায় একথা বলেন তিনি।
আবুল কাউসার আশা বলেন, গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার শাসনামলে আপনারা দেখেছেন কিভাবে মানুষের ভোটের অধিকার, কথা বলার অধিকার সংকোচিত হয়েছে। ঠিক সেই ভাবে ৫ তারিখে দেশ নতুন করে স্বাধীন হওয়ার পরে কতিপয় লোকজন পুলিশ যখন একটু ব্যাকফুটে তখন তারা পুলিশের উপর চড়াও হয়ে তারা দুর্নীতি লুটপাট শুরু করে দিয়েছে।
হুশিয়ারি দিয়ে আশা বলেন, আপনারা যারা দুই চারজন বিএনপি আছেন আপনাদের ছাড়াও বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী আছে। যারা এগুলো প্রতিহতি করবে।
পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষন করে আশা বলেন, আমি পুলিশ সুপার মহোদয়কে আহবান করবো ৫ তারিখের পর থেকে আমরা যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে থানা, উপজেলা সহ সরকারী স্তম্ভ গুলো রক্ষা করার চেষ্টা করেছি। আর যারা এই শহীদদের রক্তের উপর দাড়িয়ে লুটপাট করেছে, আমার দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে তাদের আইনের আওতায় আনা হোক।
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপুর উপর হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আশা বলেন, গতকাল মহানগর বিএনপির সদস্য সচিবের ওপর হামলা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। পাশাপাশি টিপু সাহেবকে বলব আপনার ভাষা সংযত করুন। আজেবাজে কথা বলবেন না। সুজন ও রাজু গরু লুট করে তিন লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেছে। আপনারা তাদের মদদ দেন আর বলেন জাকির খান জেল থেকে চাঁদাবাজি করছে। যারা বাইরে আছে তাদের বিরুদ্ধে আগে তাদেরকে শাসন করেন। কেউ অপকর্ম করলে প্রশাসন দেখবে। গোলা পানিতে মাছ শিকার করবেন না। আপনারা অনেক কিছু করেছেন। এদেশের ছাত্র জনতা ফ্যাসিস্ট সরকারকে রুখে দিয়েছে, আপনাদের মত চাদাঁবাজ, টেন্ডারবাজ, মামলাবাজদেও প্রতিষ্ঠিত করার জন্য রক্ত দেয় নাই।
তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আমরা অনেক মামলার আসামী হয়েছি। আমরা বাবা ছেলে একসাথে জেল খেটেছি। আমান সরদারের ছেলে সৌরভও বাবা ছেলে একসাথে জেল খেটেছে। মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি তার নামে ফতুল্লা থানায় হত্যা মামলার আসামী করা হয়েছে। সেচ্ছাসেবক দলের বর্তমান কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মোক্তারের নামে হত্যা মামলা দিয়েছেন। যাদের সাথে তালমিল হয়না তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কমিটি না থাকলেও হাজার হাজার নেতাকর্মী আমাদের সাথে হাঁটে। কমিটি না থাকলে আপনারা রিক্সায় ওঠার লোকও পাবেন না। আপনাদের সম্মান জানিয়েই বলতে চাই, আপনাদের সাথে একসাথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। সত্য যাচাই না করে কাল যেসকল কথা বলেছেন! কেউ বলেন বাড়ির ইট খুলে নিয়ে আসবেন, কেউ বলেন শহরে থাকতে দিবেন না। আপনাদের বলতে চাই অন্য কোন দলের হলে আপনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতাম। যেহেতু এক দল করি আপনাদের বলতে চাই চাঁদাবাজদের মদদ দিবেন না।