বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদ নারায়নগঞ্জ জেলা শাখার কমিটি নিয়ে ধ্রুমজাল সৃষ্টি হয়েছে। ২০১৭ সালের ১৩ জুলাই সর্ব প্রথম গোলাম মোঃ মাহাবুবুর রহমান সুমনকে সভাপতি করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির কেন্দ্র থেকে অনুমোদন দেওয়া হয়। এই কমিটি বর্তমানে চলমান রয়েছে। এই কমিটি চলমান অবস্থায় বিলুপ্ত না করে একের এক পর বির্তকিত কমিটির অনুমোদন দেয় বির্তকিত কয়েকজন কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা। পুরাতন কমিটি বিলুপ্ত না করে নতুন কমিটি গঠন করা সাংগঠনিক নিয়মের বাইরে বলে জানান নেতৃবৃন্দরা।
এদিকে ২৪ শে অক্টোবর মোঃ জুয়েল মিয়াকে সভাপতি এবং ইমরান আহমেদ ইমনকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৯ সদস্য বিশিষ্ট আরো একটি জেলা কমিটি ঘোষনা করা হয়। এই কমিটি ভূয়া বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে জেলার বর্তমান বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের সভাপতি গোলাম মোঃ মাহাবুবুর রহমান সুমন জানান, নতুন কমিটি ঘোষনা সম্পর্কে তাকে কিছুই জানানো হয়নি বা নারায়নগঞ্জের বর্তমান কমিটি বিলুপ্তি হয়েছে এই মর্মে তাকে কিছুই জানানো হয়নি।
এ প্রসঙ্গে সুমন আরো বলেন, যেহেতু এ্যাডভোকেট শহীদুল ইসলাম টিটু এবং এ্যাডভোকেট মোঃ জিয়াউল হক বাবু বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবি পরিষদের কার্যকরী সদস্য হন, ২০১৭ সালের আগষ্ট মাসে। সেই হিসাব মতে তিনি কিভাবে বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরুষদের কার্য নির্বাহী সভাপতি পদে বহাল থাকেন? এই ২০১৯ সালে? আরো উল্লেখ্য থাকে যে, বর্তমানে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবি পরিষদের আহবায়ক বিজ্ঞ সিনিয়র আইনজীবি ইউসুফ হোসেন হুমায়ন স্যার এবং সদস্য সচিব ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস স্যারদের কাছ থেকে কেন্দ্রীয় ভাবে এখনো বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইন ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্তি ঘোষনা আসেনি যা আমি জানি। তাই বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সেলিমুর রহমান সেলিম এবং সংগ্রামী সাধারন সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা কমিটিতে এখনো বিদ্যামান বলে সাংগঠনিক ভাবে আমি জানি। সেমতে নতুন কমিটি অনুমোদন দেওয়ার এখতিয়ার এ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম টিটু ও এ্যাডভোকেট জিয়াউল হক বাবু তাদের আছে বলে আমার মনে হয় না।
সুমন আরো বলেন, যদি এইভাবে সাংগঠনিক নিয়ম পরিপন্থী ভাবে কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। তাহলে সংগঠন ও আওয়ামীলীগের ভাবমূর্তি ক্ষূন্য হয়েছে বলে আমি মনে করি। পাশাপাশি আমি এই ধরনের সাংগঠনিক পরিপন্থী কাজের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবি পরিষদের আহবায়ক বিজ্ঞ সিনিয়র আইনজীবি ইউসুফ হোসেন হুমায়ন স্যার ও সদস্য সচিব ব্যারিষ্টার শেখ ফজলে নূর তাপস স্যার সহ, বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সেলিমুর রহমান সেলিম ও সাধারন সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা এদের সুদৃষ্টি কামনা করছি ও এই ধরনের অসাংগঠনিক কর্ম ও কর্ম তৎপরতার বিরুদ্ধে কার্যকারী পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ ব্যক্ত করছি।
বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রিয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক, মোঃ মশিউর রহমান মোল্লা জানান, তারা যদি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মানে আমরা মানবো না কেন কিন্তু সংগঠনের নিময়নীতির বাহিরে আমিও না তাহারাও না। তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন ও মা সমতুল্য শেখ হাসিনা তাহার নব নিবার্চিত আহবায়ক ও সদস্য সচিব আছেন, তাদের অনুমতি নিয়ে এবং বঙ্গবন্ধু আইনজীবি পরিষদের সদস্য ও এ্যাডভোকেটশীপ মুছলেখা দিয়ে ছেড়ে আসুক, আমরা না করব কেন? এই ভাবে তো দলের ও দেশের আইন অঙ্গের দলাদলির ক্ষতি করার কোন অধিকার তার নেই। দক্ষিন এশিয়ার বৃহৎ আইনের সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা যিনি বঙ্গবন্ধুকে প্রানের চেয়ে বেশি ভালোবাসে যার প্রান এখনো বঙ্গবন্ধুর জন্য কাদেন লায়কুজ্জামান মোল্লা মাতৃতুল্য শেখ হাসিনার কথায় একটুও শব্দ করে নাই।
তিনি আরো জানান, তার রক্ত বঙ্গবন্ধুর কথা বলে। কমিটি এত সহজে তৈরি হয় নাই অনেক ত্যাগ আর কষ্টের বিনিময়ে হয়েছে,বহিরাগত নিয়মনীতির উর্দ্ধে থেকে এই সব অপকর্ম চালাবে সেটা চোখ বন্ধ করে দেখতে পারি না। আওয়ামীলীগের বিশাল ক্ষতির কারন হয়ে দাড়াবে,এই সব কার্মকান্ডের জন্য। তাই বর্তমান মুল কমিটির আহবায়ক ও সদস্য সচিবের সহযোগিতা কাম্য আর অবৈধ ভাবে যে কমিটি গুলো দিচ্ছে সম্পূর্ন তাদের দায়, অর্থ উপার্জনের কমিটি দিচ্ছে আমার জানা মতে। ২০১৭ সালের ১৩ জুলাই অনুমোদিত নারায়ণগঞ্জ জেলা বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের কমিটিই বৈধ রয়েছে।