বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
শহরের জিমখানা রেলওয়ে কলোনীর সরকারী জায়গা অবৈধভাবে দখল করে ঘর ভাড়া দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ভূমিদস্যু বরিশ্যাইলা হুমায়নসহ তার বাহিনীর বাদল, কাদের, হকার সেলিম, স্বপন মিস্ত্রি ও মো. সেলিম গংরা।
অনেক বছর আগে বরিশাল থেকে কাজের খোঁজে নারায়ণগঞ্জ আসে হারুন মিয়া ছেলে এই ভূমিদস্যু মো. হুমায়ন ও তার বাহিনীর বাদল, কাদের, হকার সেলিম, স্বপন মিস্ত্রি ও মো. সেলিম। মানুষের পিছন পিছন ঘুরতে দেখা যেতো একটা কাজের জন্য তাদের। প্রতিদিন এক বেলা খেলে আরেক বেলা খাবার মিলতো না এই হুমায়নদের। কোন মতে জিমখানা বস্তিতে জীবন যাপন করতো তারা। আর সরকারী জায়গা অবৈধ ভাবে দখল করে ঘর ভাড়া দিয়ে লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে বনে গেছে এখন লাখপতি। বরিশ্যাইলা হুমায়ণ সহ তার বাহিনীর লোকজন নারায়ণগঞ্জ শহরের এখন বেশ কয়েকটি জায়গার মালিক। একসময় তাদের যে ঘরের ভিতর আকাশ দেখা যেতো আজ তাদের সেই ঘরে রয়েছে বিলাশ বহুল জিনিষপত্র।
সরেজমিনে জানা যায়, জিমখানা রেলওয়ে কলোনীর আশেপাশে রেলওয়ে স্টাফ ছাড়াও বেশ কিছু অসহায় দরিদ্র মানুষের বসবাস। সরকারী আইন মোতাবেক রেলওয়ে কলোনীর জায়গায় তাদের রেলওয়ের স্টাফ ছাড়া অন্য কেউ থাকতে পারবেনা। কিন্তু সেখানে দেখা যায় রেলওয়ের সরকারী জায়গা অবৈধভাবে দখল করে হুমায়ন ৪৫ টা ঘর তুলে ভাড়া দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এদিকে তার বাহিনীর স্বপন মিস্ত্রি রেলওয়ে কলোনীর মসজিদের জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণ করে দোকান ভাড়া দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। জিমখানার জব্বার মিয়ার ছেলে বাদল ও কাদের ১৫ টি ঘর ভাড়া দিয়ে টাকা তুলে নিচ্ছে। অপর সদস্য হকার সেলিমের রয়েছে অবৈধভাবে দখল করা ২০ টি ঘর। সুন্দর আলীর ছেলে সামন্য কাপড় দোকানের কর্মচারী মো. সেলিম তারও রয়েছে ২০ টি ঘর। জিমখানা রেলওয়ে কলোনীর যাতায়াতের রাস্তার জায়গা ও কলোনীর পিছনের জায়গার দখল করে দিনের পর দিন তারা ভোগ করে খাচ্ছে। প্রতিটি ঘর ও দোকান থেকে তারা দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা ভাড়া আদায় করে। সরকারী জায়গা দখল করে মাসে প্রতিটি ঘর থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকা তারা হাতিয়ে নিচ্ছে তারা। প্রায় ৪০ বছর যাবৎ অবৈধভাবে ভাড়া আদায় করে টাকার পাহার বানাচ্ছে তারা। আর এইসব কিছু নিয়ন্ত্রন করছে বরিশ্যাইলা হুমায়ন। তার ভয়ে এলাকার মানুষ মুখ খুলতে চায় না। হুমায়ন রেলওয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে সব কিছু ম্যানেজ করে থাকে।
তবে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক রেলওয়ে কলোনীর এক বাসিন্দা জানান, হুমায়ন ও তার বাহিনীর বাদল, কাদের, হকার সেলিম, স্বপন মিস্ত্রি ও মো. সেলিম গংরা জিমখানা রেলওয়ে কলোনীর সরকারী জায়গা অবৈধভাবে দখল করে ভাড়া তুলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তারা রাস্তার জায়গা, মসজিদের জায়গা ও রেলওয়ে স্টাফদের ঘরের চারপাশে এমনভাবে ঘর তুলে ভাড়া খাচ্ছে যার কারনে কেউ ঠিক মত চলাচল করতে পারচ্ছেনা। রেলওয়ে স্টাফরা ঘরের জানলা খুলতে পারেনা। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে জিমখানা রেলওয়ে কলোনীর বাসিন্দারা। বরিশ্যাইলা হুমায়ন বাহিনীর এই সকল অপকর্মের প্রতিবাদ করলে প্রাণ নাশের হুমকি দেয় এবং পুলিশ দিয়ে মামলা দিয়ে হয়রানী করার হুমকি প্রদান করে। প্রায়ই হুমায়ন অন্যায়ভাবে মহিলাদের মারধর করে। কেউ ভয়ে প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না। কথায় কথায় তার বোনকে জাতীয় পার্টির বড় নেত্রী দাবি করে হয়রানীর হুমকি দেয়। তাদের জায়গা দখলের কারনে জিমখানা রেলওয়ে কলোনীর চারপাশে একটুও হাটা চলাচলের জায়গা নেই। যদি রেলওয়ে কলোনীতে আগুন কিংবা বড় ধরনের দূর্ঘটনার সৃষ্টি হয়ে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয় এর দায়ভার নিবে কে?