বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক বলেন, আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি এবং সুনির্দিষ্ট করে বলেছি এই সম্পত্তি দেবোত্তর সম্পত্তি। খোকন সাহা এই সমাবেশে ৬টি দলিল উপস্থাপন করে দেখিয়েছেন যে এটা প্রকৃতপক্ষে দেবোত্তর সম্পত্তি। এটা সাড়ে তিনশ বছর আগের পুরনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিহ্নিত আছে। মেয়রের উচিত এই সম্পত্তি দিয়ে দেওয়া অথচ মেয়র বলছেন যে এই সম্পত্তি তার পারিবারিক সম্পত্তি। যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলবো জিউস পুকুরের দেবোত্তর সম্পত্তি উদ্ধার হবে এবং আপনি তা বাধা দিয়ে রাখতে পারবেন না। সাথে অবৈধ দখলদার যারা আছেন তাদেরও এখান থেকে সরে যেতে হবে এবং এ জায়গাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হবে।
শনিবার(০৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দেওভোগ জিউস পুকুর সংলগ্ন এলাকায় জেলা হিন্দু সম্প্রদায় নাসিক মেয়র আইভীর পরিবার থেকে দেবোত্তর সম্পত্তি রক্ষার দাবীতে আয়োজিত গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি সার্বজনীন সম্পত্তি রক্ষরা জন্য হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান নির্বিশেষে সবাই এগিয়ে আসবেন। এই গণতন্ত্র সরকার আছে বিধায় আমাদের প্রায় ৩০ হাজার পুজা মন্ডপে দুর্গাপুজা অনুষ্ঠিত হয় এবং আমরা অনেক দেবোত্তর সম্পত্তি উদ্ধার করেছি। কিন্তু অনেক বড় বড় দেবোত্তর সম্পত্তি এখনও উদ্ধার হয়নি। কাজেই নারায়ণগঞ্জ এটা একটা উদাহরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে এবং এই উদাহরণকে নিয়ে বাংলাদেশে বিভিন্ন অঞ্চলে দেবোত্তর সম্পত্তি উদ্ধার করা হবে বলে আমরা মনে করি। যারা এদেশে গণতন্ত্র বা তথাকথিত রাজনীতির নামে গণতান্ত্রিক শক্তিকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করতে হবে।
এসময় জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপক কুমার সাহার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শিপন সরকারের সঞ্চালনায় গণসমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নির্মল চ্যাটার্জি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আবু হাসনাত শহীদ মোঃ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. খোকন সাহা, সিনিয়র সহ-সভাপতি চন্দন শীল, সহ-সভাপতি রবিউল হোসেন,, যুগ্ম সম্পাদক শাহ্ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভূইয়া সাজনু, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, সিটি কর্পোরেশনের ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিউদ্দিন প্রধান, ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজল, ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ জুয়েল হোসেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. মোহসীন মিয়া, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অরুন দাস, সাধারণ সম্পাদক উত্তম সাহা, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানি, বর্তমান সভাপতি আজিজুর রহমান আজিজ, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসমাঈল রাফেল প্রধান প্রমুখ।