বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জ শহরের জামতলা এলাকায় গৃহবধূ রূপা রানী দাসের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে ধু¤্রজাল সৃস্টি হয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় রূপার মৃত্যুর ঘটনাটি শ^শুরবাড়ির লোকজন আতœহত্যা বলে প্রচার করলেও ইদানীং ওই ঘটনা ক্রমেই ঘনীভূত হতে চলেছে। রূপার পরিবারের দাবি,তাকে নির্যাতন ও শ^াসরুদ্ধ করে হত্যার পর ওড়না দিয়ে বেধে ঘরের ফ্যানের হুকের সাথে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। এদিকে অপমৃত্যু মামলায় নিহত রিপার স্বামী রিপাকে মানসিক অসুস্থ্যতার কথা উল্লেখ করলেও তাতে দ্বি-মত পোষণ করে রূপার বড় ভাই বাপ্পী চন্দ্র দাস জানান,আমার বোন কখনোই মানসিক অসুস্থ্য ছিলেন না। এটা প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করার চেষ্টা তার স্বামী ও শ^শুরবাড়ির লোকজনের। পরিকল্পিতভাবে তারা আমার বোনকে হত্যা করে সেটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চাইছে। তাছাড়া আমার বোনের মৃত্যু হয়েছে ২ মার্চ সন্ধা ৭টায় অথচ পুলিশকে ফোন দেয়া হয় রাত ২টায় আমাদেরকেও খবর দেয়া হয় রাত ৮টার পরে। মৃত্যুর খবর এতো পরে দেয়ার বিষয়টিও অনেকটা রহস্যের সৃষ্টি করে। শুধু তাই নয়, ময়না তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরও তাদের পক্ষাবলম্বন করছে। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে আমার বোনের হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়,নারায়ণগঞ্জ শহরের ১৯/১ জামতলা হীরা কমিউনিটি সেন্টারের পিছনের মহল্লার আলী আকবর মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া মৃত রমেশ চন্দ্র দাসের ছেলে রঞ্জিত চন্দ্র দাস বিগত ৭ বছর পূর্বে সুদূর চাঁদপুর জেলার উত্তর মতলব থানার হানিরপাড় এলাকার বিষ্ণু চন্দ্র দাসের কনিষ্ঠা কণ্যা রূপা রানী দাসকে ভালবেসে বিয়ে করে। বিয়ের ২বছর পর তাদের সংসারে একটি ফুটফুটে কণ্যা সন্তান জন্ম নেয়। যার নাম তনুশ্রী দাস(৫)। কণ্যা সন্তান জন্মদানের পর থেকেই রূপার উপর নেমে আসে স্বামী ও শ^শুরবাড়ির লোকজনের পাশবিক নির্যাতন। স্বামী রঞ্জিত,ননদ বকুল রানী,ননদের স্বামী বিপ্লব দাস এবং ভাসুর মানিক চন্দ্র দাস ও ভাবী রূপা দাস প্রতিনিয়তই তাকে কারণে অকারণে বেদম মারপিট করতো। তারই ধারাবাহিকতায় ২মার্চ রাতে রূপা রানীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর ফ্যানের হুকের সাথে ঝুলিয়ে আতœহত্যা বলে চালিয়ে দেয়।