বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জে ডিসি এসপি অফিসের সামনে কাফনের কাপড় পরে মানববন্ধন করে নজরুল দম্পতি ছাত্রলীগ নেতা হিমেল ও যুবলীগ নেতা মজিবরের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা বলে সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানালেন নজরুলের আপন দুই ভাই ফরিদুল ইসলাম ও নুরুল ইসলাম। নজরুলের মাথায় সমস্যা রয়েছে বললেন তার আপন বোন আয়েশা খাতুন।
বুধবার সকালে ফতুল্লার সস্তাপুর এলাকায় কাফনের কাপড় পরে মানববন্ধন করে জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি শাহরিয়া রেজা হিমেল ও যুবলীগ নেতা মজিবর সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগীরা। এসময় এই সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত হয়ে নজরুলের এই অভিযোগে বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান খোদ নজরুলের আপন ভাই বোন।
সংবাদ সম্মেলনে নজরুলের আপন বড় ভাই ফরিদুল ইসলাম জানান, মানববন্ধনে আমার ছোট ভাই নজরুল যে অভিযোগগুলো করেছে এগুলো সম্পূর্নই মিথ্যা। আপনারা এলাকায় যাচাই করেন। হিমেল, মজিবররা ভাল মানুষ। তাদের মত লোক এই গ্রামে নাই। নজরুল মানববন্ধনে বলছে ওর তিনটা বাড়ি। আসলে ওর দুইটা বাড়ি। একটা বাড়িতে ওই বসবাস আরেকটা বাড়িতে নজরুল দোকান ভাড়া দিছে এই ভাড়া কে খায় আপনারা সেখানে গিয়ে ভাড়াটিয়াদের কাছে জিজ্ঞেস করেন তাহলেই জানতে পারবেন। তাইলে নজরুলের জায়গা কে দখল করলো। হিমেল মজিবর এমন অন্যায় করতে পারেনা।
নজরুলের বোন আয়েশা জানান, আমার ভাই নজরুলের মাথা ঠিক নাই। নজরুল পাগল অসুস্থ্য। এই ভাই যেদিন থেকে বিয়ে করছে সেদিন থেকে ভাই বোন কাউকে চিনে না। আমরা না খেয়ে থাকলেও আমাদের খবর নেয় নাই। আমার ভাইকে এই বউ আমাদের খোজ খবর নিতে দেয় নাই। হিমেল, মজিবর, শাহজালাল ভাইয়েরা ওনারা মানুষের বিপদে ঝাপাইয়া পরে।
নজরুলের আরেক ভাই নরুল ইসলাম জানান, আমার ভাই নজরুল যে মানববন্ধন করে থাকে তাহলে ভুল করছে। ভাইয়ের যে অভিযোগ এগুলো সবই মিথ্যা। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনছে ওনারা এই ধরনের লোক না।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীদের একজন যুবলীগ নেতা মজিবর জানান, আমার ভাই ভাতিজারা এই সস্তাপুর এলাকায় সুনামের সাথে বসবাস করে আসছি। আমরা সবাই ব্যবসায়ী সুনামের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবসায়ী পরিচালনা করে আসছি। সেই আমি ও আমার ভাতিজা হিমেল রাজনীতির সাথে যুক্ত। আমার ভাতিজা শাহরিয়া রেজা হিমেল জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ সভাপতির পদে আছেন। আসলে আমাদের রাজনৈতকভাবে হেয় করতে এই মিথ্যা অভিযোগ ও অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ একটা প্রমানিত করতে পারলে প্রশাসন যে শাস্তি দিবে তা মাথা পেতে নিবো। আর যদি অপপ্রচারকারীদের অভিযোগ মিথ্যা হয় তাহলে প্রশাসনের কাছে আমি এর বিচার চাই।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান মেহেদী সিদ্দিকী ও ফতুল্লার মডেল থানার একটি টিম অভিযোগের বিষয়ে তদন্তে নজরুলের বাড়িতে আসেন। তখন এই পুলিশ কর্মকর্তা নজরুলকে হিমেল ও মজিবরের নামে আনিত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নজরুল ও তার স্ত্রী এই অভিযোগগুলোর সুনির্দিষ্ট প্রমান ও কারন বলতে পারেনি। এদিকে যে জায়গাটি দখলের অভিযোগ করেছেন নজরুল। সেই জায়াগাটি সরকারী সম্পত্তি। এই সরকারি জমিটি কাফনের কাপড় পড়া সেই নজরুল ইসলামের দখলে। পরে পুলিশের টীম সরকারী জমির কথা জানতে পেরে এই জায়গায় গড়ে উঠা দোকান বন্ধ করে দেন। এদিকে নজরুলের কাছে চাদাবাজি সহ বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে ফতুল্লা মডেলে থানায় কোন অভিযোগ করেনি বলে নিশ্চিত করেন পুলিশ।