বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া শহীদ মিনারের সামনে অবস্থিত বৈইলী টাওয়ার এর পাঁচ তলার একটি ফ্ল্যাটে রাজিয়া (১৪) নামে এক গৃহকর্মীর রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে।
মৃত গৃহকর্মী রাজিয়া ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার মুন্সীবাজার এলাকার হযরত আলি ও মৃত সেলিনা বেগমের মেয়ে।
সরেজমিনে জানা যায়, নিহত গৃহকর্মী রাজিয়া শহরের শহীদ মিনারের সামনে অবস্থিত বৈইলী টাওয়ার এর পাঁচ তলায় একটি ফ্ল্যাটে নিট কনসার্ন গার্মেন্টসের মালিক জয়নালের মা হাসিনা বেগমের(৭০) গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতো। এই ফ্লাটটিতে জয়নালের ছোট ভাই মনা ও তার মা বসবাস করতো। গত সোমবার রাতে থাবার পর পাশের রুমে ঘুমাতে যায় গৃহকর্মী রাজিয়া। পরের দিন মঙ্গলবার সকালে ৬টায় গৃহকর্তা হাসিনা বেগম তাকে ঘুম থেকে ডাকতে গেলে তিনি দেখেন রাজিয়া বিছানায় না শুয়ে নিচে শুয়ে আছে। এমতাবস্থায় তখন তার শরীরে ধরলে মৃত দেখে সে চিৎকার করে উঠেন। হাসিনা বেগম তার আত্মীয় স্বজনকে ফোন করে ঘটনাটি জানান। এদিকে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। এরপর গৃহকর্মীর রাজিয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানোর নির্দেশ দেন সদর মডেল থানার ওসি আসাদুজ্জামান। এসময় তার সাথে ঘটনাস্থল তদন্তে আসেন সদর থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক ও এস আই মো. আলী আজগর।
পাশ্ববর্তী প্রতিবেশীরা জানান, এই ফ্ল্যাটিতে নীট কনসার্ন গার্মেন্টসের মালিক জয়নালের ছোট ভাই মনা ও তার মা হাসিনা বেগম থাকেন। প্রায়ই দেখা যায় তার ভাই মনা এখানে এসে থাকেন। তাই ধারনা করা হচ্ছে গৃহকর্মীর মৃত্যুটি রহস্যজনক।
এদিকে পুলিশকে মালিকের পক্ষ নিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করতে দেখা যায়। মৃত গৃহকর্মীর আত্মীয় স্বজনের গনমাধ্যমকর্মীদের সাথে কথা না বলতে হুমকি প্রয়োগ করার অভিযোগ পাওয়া যায়।
এবিষয়ে জেলা সিভিল সার্জেন আশুতোষ দাসের সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, মৃত গৃহকর্মীর লাশ ময়নাতদন্ত শেষ করা হয়েছে। লাশে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। লাশের কিছু আলামত মহাখালীতে তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষ হলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।

