বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
ভোটার আইডি কার্ড নাই, তাই গত ২মাসে কেউ কোন পোটলাও দেয় নাই। কিন্তু রবিবার রাইতে এক ভাই আইসা ঘুম থেকে ডাইক্কা উঠাইয়া বললো এমপি শামীম সাব সবার ঘরে খাবারের পোটলা পাঠাইছে। খুইল্লা চোখের পানি ধইরা রাখতে পারি নাই”-এভাবেই নিজের অনুভুতি জানালেন ৬০উর্ধ্বো বৃদ্ধা আয়নব বানু। থাকেন ফতুল্লার সদর উপজেলার সস্তাপুর এলাকার কমর আলী স্কুল রোডে। শুধু আয়নব বানুই নন, একই দেয়ালের ভেতরে ঘিঞ্জি পরিবেশে সেখানে বসবাস করেন আরো ২৪টি পরিবার। পেশায় কেউ ফেরিওয়ালা, কেউ গার্মেন্ট কর্মী ,কেউ সবজি বিক্রেতা আবার কেউ ভ্যান-রিকশা চালক। এক রুমের কামড়াতেই পরিবার নিয়ে বসবাস করেন তারা। লকডাউনের কারণে হয়ে পরেন কর্মহীন।
ঐ বাড়ীর বাসিন্দা চিত্ত রঞ্জন, জরিনা, আঞ্জুমান, আয়শাসহ সকলেই বললেন, আমরা এই বাড়ীতে ২৫টি পরিবার ভাড়া থাকি। স্বামী-স্ত্রী সন্তান পরিবার নিয়ে সবাই এক কামড়ার ঘরেই যার যার মত বসবাস করি। আমাদের বাড়ী ময়মনসিংহ, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ,যশোর এলাকায়। এখানকার ভোটার আইডি কার্ড না থাকায় যারাই লিস্ট করতে আসছিলেন কেউই আমাদের নাম নেন নাই। কাজ না থাকায় খুবই সমস্যায় ছিলাম। কেউ অর্ধাহারে কেউ অনাহারেই বেঁচে ছিলাম। সাহায্য করার মত কাউকেই পাচ্ছিলাম না। পরে বিষয়টি পাশের বাড়ীর সাংবাদিক সালাউদ্দিন ভাইকে জানালে উনি আশ^াস্ত করেছিলেন। এব্যাপারে ঢাকা সাব এডিটর কাউন্সিলের দপ্তর সম্পাদক সালাউদ্দিন মোল্লা জানান, আমার বাড়ীর দেয়াল ঘেষেই এই ২৫টি পরিবার থাকেন। তাদের দুর্দশার বিষয়টি আমাকে জানালে আমি বিষয়টি স্থানীয় এমপি একেএম শামীম ওসমানকে জানালে উনি তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেন।
রবিবার গভীর রাতেই ২৫টি অসহায় পরিবারের জন্য এমপি শামীম ওসমানের ব্যক্তিগত ত্রান উপহার নিয়ে ছুটে আসেন যুগান্তরের নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি রাজু আহমেদ। নিজে কাধে করেই উপহারের বস্তা নিয়ে ঘুম থেকে তোলেন সবগুলো পরিবারকে। এসময় সবগুলো পরিবারের মুখে যে হাসি আর তৃপ্তির কান্না দেখেছি তা ভাষায় বর্ননা করার মত নয়। সকলেই এমপি শামীম ওসমানের জন্য দোয়া ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।