বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
বাজারদরের সাথে সঙ্গতি রেখে শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি, শ্রম আইনের শ্রমিক স্বার্থবিরোধী ধারাসমূহ বাতির করে গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রণয়ন, তেজগাঁও এ শ্রমিকদের উপর গুলিবর্ষণকারী পুলিশ ও মালিকের শাস্তির দাবিতে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট গাবতলী-পুলিশ লাইন শাখার জেলার উদ্যোগে আজ বিকাল ৫ টায় মাসদাইর চৌধুরী কমপ্লেক্স এর সামনে মানববন্ধন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট গাবতলী-পুলিশ লাইন শাখার সভাপতি সাইফুল ইসলাম শরীফের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আবু নাঈম খান বিপ্লব, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ, গাবতলী-পুলিশ লাইন শাখার সাধারণ সম্পাদক হাসনাত কবীর, সহ-সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, কাঁচপুর শিল্পাঞ্চল শাখার আনোয়ার হোসেন খান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, শ্রমিকদের দীর্ঘ দিনের দাবি গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রণয়ন করা।। সরকার শ্রম আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু অতীতে দেখা গেছে মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ বিজেএমইএ যেভাবে চায় সেভাবে মালিকের স্বার্থ রক্ষা করে শ্রম আইন সংশোধন হয়েছে। আমরা দাবি করছি বাংলাদেশের সংবিধান, আইএলও কনভেনশন ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ঘোষণাকে ভিত্তি ধরে শ্রম আইন সংশোধন করে গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রণয়ণ করতে হবে। বর্তমান শ্রম আইনের ১২, ১৩, ১৪, ২০, ২৩, ২৬, ২৭, ১৭৯, ১৮০ ধারাসহ শ্রমিক স্বার্থবিরোধী সমস্ত ধারাসমূহ বাতিল করতে হবে। সেখানে লোক দেখানো সংশোধন হলে শ্রমিকরা মানবে না।
নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনাকালে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমজীবী মানুষ। চাল, তেল, চিনিসহ সমস্ত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে। কিন্তু গার্মেন্টস শ্রমিকের মজুরি বাড়ে নাই। অনতিবিলম্বে বাজারদরের সাথে সঙ্গতি বিধান করে নতুন মজুরি কাঠামো করতে হবে। নতুন মজুরি ঘোষণার পূর্ব পর্যন্ত শ্রমিকের চলার জন্য মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, তেজগাঁও এ অবস্থিত স্টিচ ওয়াল ও অ্যাপারেল স্টিচ এর শ্রমিকরা ৪ মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে ১০/১৫ জন শ্রমিক আহত হয়। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ন্যায়সঙ্গত শ্রমিক আন্দোলনে গুলিবর্ষণকারী পুলিশের শাস্তি, মালিককে গ্রেপ্তার ও শ্রমিকের বকেয়া পরিশোধর দাবি জানান।