বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
আর্ন্তজাতির মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও এক সময়ের তুখড় ছাত্রনেতা জাকির খান সর্মথকরা। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়রি) সকালে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পূষ্পার্ঘ্য অর্পনের মধ্যদিয়ে ভাষা বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা।
এর আগে দিবসটি উপলক্ষে শহরে বিশাল শোডাউনও করেন জাকির খান সর্মথকরা। এদিন সকালে দেওভোগ আখড়ার মোড় হতে প্রায় হাজার হাজার নেতাকর্মী জাকির খান ব্যানারে ভাষা শহীদদের স্মরণে র্যালি বের করে। এসময় র্যালিতে থাকা নেতাকর্মীরা ‘ আজকের এ দিনে-জিয়া তোমায় মনে পড়ে, স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া-লও লও লও ছালাম, মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই-খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই, জেলের তালা ভাঙবো-খালেদা জিয়াকে আনবো’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। তাদের এ স্লোগানে হঠাৎই যেন প্রকম্পিত হয়ে ওঠে নারায়ণগঞ্জের রাজপথ। যেন মানুষ কিছুটা সময় থমকে গিয়ে দৃষ্টি বাড়ায় তাদের এ মিছিলে। শুধু তাই নয়, তাদের এ স্লোগানের ফলে পুলিশ প্রশাসনের বহু সদস্যকেও ওঠে বসতে দেখা গেছে।
র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। পরে তারা শহীদ মিনারে পূষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন কিছুটা সময় সেখানে নিরবে দাঁড়িয়ে থেকে গভীর শ্রদ্ধাভরে ভাষা শহীদদের স্মরণ করেন।
শ্রদ্ধা শেষে সাংবাদিকদের তারা বলেন, ভাষা সৈনিকেরা যেভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করে মাতৃভাষাকে বিজয়ী করেছিলো, আজ ঠিক তেমনি ভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করে এ দেশে গণতন্ত্রকে বিজয়ী করতে হবে। ফিরিয়ে আনতে হবে এদেশের প্রতিটি মানুষের ভোটাধীকার, স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্ব।
তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে একটি ছোট্ট, ভিত্তিহীন মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। এই মামলায় ৭ দিনের বেশি জেলে থাকার কথা নয়। তবুও দেশনেত্রী দেশমাতাকে আজ বছরের পর বছর জেলে রেখেছে এ জালিম সরকার। দেশনেত্রীকে যতদিন না কারাগার থেকে মুক্ত করে আনতে পারবো, ততদিন আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম চলছে এবং চলবে। তাই আসুন আজকের এই দিনে ‘খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে এনে তার নেতৃত্বে এ দেশের হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার শপথ নেই।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম, নাজিম উদ্দিন টনি, জাতীয়তাবাদি মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ও মহানগর মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম রতন, জেলা যুবদলের সহ সভাপতি বেলায়েত হোসেন লাভলু, পারভেজ মল্লিক, সহ সাধারন সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহ্, সাবেক ছাত্রনেতা জাকির হোসেন, মহানগর মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক লিংকন খান, ঋষিকেশ মন্ডল মিঠু, শাহীন আহমেদ, রাজীব মন্ডল, মীর মোহাম্মদ রাজীব, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, মহানগর মৎস্যজীবী দল নেতা এল.কে রনি, এইচ.এম হোসাইন, মাহী, রিপন সিকদার, জহিরুল ইসলাম রনি, মুক্তার সিং, সফিউদ্দিন, হারুন অর রশিদ, জুম্মান, সালাউদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন জেকি, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক রাকিব হাসান রাজ, জেলা ছাত্রদল নেতা ফাহিম হোসেন, রিপন আল মামুন, শামীম ইসলাম, সায়েদ হোসেন সাব্বির, মারুম, আরাফাত, লিয়ন হাসনাত জামান রিফাত, সাজ্জাদ, ইসমাইল, জাকারিয়া, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক লিংরাজ খান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বিল্লাল হোসেন নয়ন, স্কুল বিষয়ক সম্পাদক ইরফান ভূইয়া, সদস্য সাব্বির, মনির হোসেন, তন্ময়, শিমুল প্রধান, তানজিদ, সৌরভ, আহসান হাবিব, সুজন, বক্তাবলী ইউনিয়ন মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক সলিমুল্লাহ্ হৃদয়, ইউনিয়ন মৎস্যজীবী দল নেতা রানা, কুতুবপুর ইউনিয়ন মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক নাঈম খান, কাশিপুর ইউনিয়ন মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক জাকির হোসেন, ইউনিয়ন মৎস্যজীবী দল নেতা হালিম সিকদার, ফতুল্লা থানা যুবদলের সদস্য মো: শরিফ, ছালাম, ফতুল্লা থানা তাঁতীদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী বাবু, বন্দর থানা মৎস্যজীবী দল নেতা সাখাওয়াত হোসেন পিংকি, আব্দুল আল সোহেল, মামুন, সাগর, শহীদ জিয়া ছাত্র পরিষদ জেলা শাখার সভাপতি মো: জিসান, সাধারন সম্পাদক আসিফ প্রধান, ফতুল্লা থানার সভাপতি নয়ন তালুকদার, সাধারন সম্পাদক বিজয়, রাহাত, আবু জাফর, ১৬নং মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন অদিত, প্রজন্ম ৭১’র মহানগর শাখার সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আয়নাল খান প্রমূখ।