বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
স্বাস্থ্যখাতে জাতীয় বাজেটের ২০% বরাদ্দ, কৃষি-শিক্ষা-সামাজিক সুরক্ষায় বরাদ্দ বাড়ানো এবং খানপুর করোনা হাসপাতালে অব্যবস্থাপনা, অনিয়মিত দুর্নীতি দূর দ্রুত আইসিইউ চালু ও কীটের সংকট নিরসন করে নিয়মিত সর্বোচ্চ টেস্টেও ব্যবস্থা করার দাবিতে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে আজ বিকাল ৩টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক কমরেড নিখিল দাসের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখবেন বাসদ জেলা ফোরামের নির্বাহী সদস্য আবু নাঈম খান বিপ্লব, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ, ফতুল্লা থানার বাসদ সমন্বয়ক এম এ মিল্টন, রি-রোলিং স্টিল মিলস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক এস এম কাদির, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সুলতানা আক্তার।
নিখিল দাস বলেন, এই করোনাকালে আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থার দৈন্য দশার ভয়াবহ রূপ উন্মোচিত হয়েছে। করোনা ননকরোনা কোন হাসপাতালেই মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছে না। বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর হার বেড়েই চলেছে। এ অবস্থায়ও শাসকগোষ্ঠীর হুশ হয়নি। বাজেটের ২০% দাবি করা হলেও স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে মাত্র ৫.১%। গত বছর থেকে ৪০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব করলেও এর ২৫০০ কোটি টাকা দিচ্ছে বিশ^ব্যাংক ও আইএমএফ।
তিনি বলেন, যেখানে মালদ্বীপের মতো ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্রে স্বাস্থ্য বাবদ বাৎসরিক মাথাপিছু ব্যয় ২০০০ ডলার, সেখানে বাংলাদেশে মাত্র ৮৮ ডলার। শুধু তাই নয়, শিক্ষা, কৃষি, সামাজিক সুরক্ষায়ও আশানুরূপ বরাদ্দ দেয়া হয়নি। কৃষিখাতে গত বছর ছিল ৫.৬% আর এবার কমে হয়েছে ৫.২%। শিক্ষা ও গবেষণাকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি। রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো পরিবেশ বিধ্বংসী প্রকল্পের টাকাও শিক্ষাখাতে যুক্ত করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি উত্তরণে প্রাতিষ্ঠানিক অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমজীবীদের কর্মসংস্থান ও নগদ সহায়তা এবং করোনাকালে প্রচুর প্রবাসী শ্রমিক দেশে এসেছে তাদের কর্মসংস্থানের বিষয়েও বাজেটে কোন কথা নেই।
নেতৃবৃন্দ বলেন, খানপুর করোনা হাসপাতালে এখনো আইসিইউ চালু করা যায়নি। তবে আশার কথা ১০ টি বিশেষায়িত বেড এসেছে। আমরা অন্যান্য সরঞ্জামাদির সংকট নিরসন করে দ্রুত আইসিইউ চালুর দাবি জানাই। ইতিমধ্যে খানপুর হাসপাতালের নানা অনিয়ম দুর্নীতির খবর পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। আমরা খানপুর হাসপাতালকে দুর্নীতি মুক্ত করা এবং কীটের সংকট নিরসন করে টেস্টের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানাই।