বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয় এর আওতায় সারা দেশে ক্ষুদ্র এবং প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে বিভিন্ন ফসলের বীজ ও তা চাষাবাদের জন্য প্রয়োজনীয় সার প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে বিতরনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বন্দর উপজেলা কৃষি অফিস প্রাঙ্গণ আয়োজিত অনুষ্ঠানে ১৫০ জন কৃষকের প্রত্যেকের মাঝে প্রতি ১ বিঘা জমি চাষাবাদের জন্য ১ কেজি বারি সরিষা-১৪ এর বীজ, ২০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার বিতরন করা হয় ও ৩ জন কৃষকের সবার মাঝে প্রতি ৫০ শতক জমিতে চাষাবাদের জন্য বিটি বেগুন-২ এর ২০ গ্রাম বীজ এবং ১৫ কেজি ডিএপি ও ১৫ কেজি এমওপি সার বিতরন করা হয়। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধাণ অতিথি হিসেবে নারায়নগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আব্বাসউদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এড.মাহমুদা আক্তার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিন্টু বেপারী।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপজেলা কৃষি অফিসার মোস্তফা এমরান হোসেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ আব্বাসউদ্দিন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলার কৃষকদের স্বার্থে কৃষি গবেষণাকে আরোও জোরদার করছেন এবং কৃষি সম্প্রসারণের মাধ্যমে কৃষকদের নিকট সেই গবেষনার ফলাফল পৌছে দিতে উপযোগী ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন। বিটি বেগুন-২ ও বারি সরিষা-১৪ চাষের মাধ্যমে কৃষকেরা আগের তুলনা ১৭-১৮% বেশি ফলন উৎপাদনে সক্ষম হবে। এর আগে শুভেচ্ছা বক্তব্যে মোস্তফা এমরান হোসেন বলেন,বারি সরিষা-১৪ ৮০-৮৫ দিন জীবনকাল বিশিষ্ট হওয়ায় আমন ও বোরো আবাদের মধ্যবর্তী সময়ে চাষাবাদ করা যায়। এছাড়া এটি টরি-৭ ও সোনালী সরিষা জাতের সংকরনের মাধ্যমে উদ্ভাবিত হয়েছে ফলে এর থেকে পাওয়া তেলের পরিমান শতকরা ৪০-৪৫ ভাগ ও এর রং ও গুনাগুন মানুষের কাছে আকর্ষনীয়। এফসল সঠিক নিয়মে চাষাবাদ করলে হেক্টর প্রতি ১.৪-১.৬ টন ফলন পাওয়া সম্ভব। আবার বন্দরে এই প্রথম বিটি বেগুন-২ চাষাবাদের আওতায় এসেছে। যা বেগুনের ফল ও ডগা ছিদ্রকারী পোকা প্রতিরোধ করতে সক্ষম। ফলে কৃষকরা খুব সহজে এই বেগুন চাষ করে অধিক লাভবান হতে পারে। উল্লেখ্য, বারি বিটি বেগুন-২ (কাজলা) গাছে গুচ্ছাকারে ফলন হয় ও চারা রোপনের ৬০ দিন পর ফসল সংগ্রহ করা যায়। যার ফলন হেক্টর প্রতি ৩০-৭০ টন।