আনিসুজ্জামান অনু,ফতুল্লা,বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
আমি এমপি শামীম ওসমানকে বলেছি ,কুতুবপুরে আওয়ামীলীগের কোন অফিসের দরকার নাই। কারন এ সকল অফিসে মাদক ব্যবসা চলে,জুয়া খেলা চলে,যা পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এ সকল অফিসের কারনে এমপি শামীম ওসমানের বদনাম হচ্ছে। এ জন্যে আমি এমপি সাহেবকে বলেছি, আমি এ সকল অফিস উঠাইয়া দিমু। আমার বুকে সৎসাহস আছে বিধায় আমি এ ধরনের কথা বলার সাহস পেয়েছি।
কারন এমপি শামীম ওসমান ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড করছেন সুনামের জন্যে কিন্তু এ সকল অফিসের মাধ্যমে উনার বদনামের কারনে সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড ভেস্তে যাচ্ছে। গতকাল পাগলা শাহিমহল্লা মাদ্রাসায় ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার আলাউদ্দিন হাওলাদারের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনাসভায় কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন,গত সপ্তাহে এমপি শামীম ওসমানের সাথে আমার অনেক আলোচনা হয়েছে। উনার বুকে অনেক কষ্ট আছে যা সবার কাছে বলে না। আমার কাছে তিনি জানতে চেয়েছেন, সেন্টু এত উন্নয়ন করে কি হবে ? দেখা গেল আমি অনেক উন্নয়ন করলাম কিন্তু আমার বিপরীতে এমন একজন প্রার্থী এলো যিনি টাকা দিয়ে ভোট কিনে নেয় তবে লাভ কি ?
সেখানে আমি এমপি সাহেবকে পরামর্শ দিয়েছি,আপনার সুফল পাইতে হলে একটা কাজ করতে হব্ েপ্রতিটি এলাকা থেকে ২/৪জনকে মাথায় খাপ্পা লাগাইয়া উঠাইয়া নিতে হবে। এলাকার মানুষ দেখুক আপনি এ সকল অন্যায়কারীদের আপনি সমর্থন করেন না। অন্যান্যরা বুঝতে পারবে অন্যায় করে পার পাওয়া যাবে না। আপনাদের বুঝতে হবে এখন শামীম ওসমান এমপি আর আমি চেয়ারম্যান। তিনি হয়তো একন কিছু হবে না,তবে মনে রাখতে হবে সময়মত দেখবেন নাই হয়ে যাবেন। আপনার কোন খোঁজ থাকবে না।
চেয়ারম্যান সেন্টু আওয়ামীলীগ নেতাদের হুশিয়ার করে বলেন, আপনারা সাবধান হউন। কারন অনেক অপরাধী আছে দলে যাদের কোন পদ নেই তারাই দলকে ভাঙ্গিয়ে অপরাধ করে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে সাবধান হতে হবে।
