বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
বড় ভাই মুদী ব্যবসায়ী হাজী কুতুবউদ্দিন আহাম্মদের হত্যাকান্ডের ব্যাপারে আরো অগ্রগতি এবং এজাহারভুক্ত আসামীদের আশু গ্রেফতারে দাবি জানিয়েছেন বন্দর থানা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক আলহাজ¦ আবেদ হোসেন। বুধবার গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। অত্যন্ত আক্ষেপের সঙ্গে আবেদ হোসেন আরো বলেন,কুতুবউদ্দিন হত্যা মামলা নিয়ে বন্দর থানা পুলিশের আন্তরিকতার অভাব। যে কারণে মামলার এজাহারভুক্ত আসামীরা দিব্যি প্রকশ্যে ঘুরে আমার ভাইয়ের পরিবারের সদস্য এবং আমাদেরকে হুমকি ধামকি দিয়ে বেড়াচ্ছে। প্রশাসনকে এসব বিষয় অবগত করার পরও কোন প্রতিকার মিলছেনা। প্রশাসনের রহস্যজনক আচরণের কারণে খুবই শংকার মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে। প্রসঙ্গটি উঠতেই আবেদ হোসেনের চোঁখে টলমল করতে থাকে অশ্রু। বেদনাহত ভারে তিনি যেন ন্যূজ হয়ে গেলেন। কথা যেন ভিতর থেকে আটকে গেল। কন্ঠনালী যেন স্বজন হারানোর ব্যাথায় শুন্যতার আধারে যখন শান্তনা ঁেখাজার চেষ্টা ঠিক সেই মুহুর্তে তিনি অম্লানকন্ঠে বলেন হত্যা মামলার আসামী কথিত জাপার প্রভাবশালী সন্ত্রাসী ভূমিদস্যু আজিজুল হক আজিজের সাঙ্গ-পাঙ্গরা অনায়াসে মহল্লায় ঘুরে বেড়ায়,যখন দেখা যায় প্রশাসনের ২৪ ঘন্টা আলটিমেটাম সত্বেও প্রশাসনের উদাসিনতার কারণে আসামীরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে,মনে সামান্যতমও ভীতির সঞ্চার ঘটে না,বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায় তখনই এক সাগর কান্নায় বুকটা চৌচির হয়ে যায়। এই অবস্থা যদি ক্ষমতাসীনদলের থানা আওয়ামীলীগের সম্পাদকের বেলায় ঘটে তাহলে সাধারন মানুষ বিচার পেতে কতটুকু বেগ পেতে হচ্ছে তা সহজেই অনুমেয়। আবেদ হোসেন আরো জানান,আমার বড় ভাই কুতুবউদ্দিনকে হত্যার আগেও ১৯৮৭ সালে একবার তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। মূলত স্থানীয় পঞ্চাতের নেতৃত্বের জের ধরেই আমার ভাইকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। কিছুদিন পূর্বে আমার বাড়ির পিছনের এক মাদ্রাসার প্রিন্সিপালকে হুমকি দিয়ে বলে ঈদের নামায পড়ালে তাকে মেরে ফেলা হবে। এদিকে হত্যা মামলায় আটজন আসামী করা হলেও এনায়েত নগরের ধৃত শামীম ছাড়া আর কোন আসামীকে প্রশাসন ধরতে পারেনি। তিনি মনে করেন ধৃত আসামী শামীম এনায়েতনগরের বাসিন্দা,আমার ভাইয়ের সাথে ওর কোন শত্রুতাও নাই,কোন লেনদেনও ছিল না তবে কেন শামীম আমার ভাইকে খুন করবে। কোন অদৃশ্য শক্তির সম্পৃক্ততার কারণেই কি আসামিরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকছে। তা না হলে গত ২৮ জুন হতে এ পর্যন্ত পেড়িয়ে গেলেও এখনও কোন আসামী ধরতে কেন পারছে না প্রশাসন। তিনি জঙ্গীবাদের ব্যাপারে জনসচেতনতা তৈরীর লক্ষে বিভিন্ন মসজিদ,মাদ্রাসা ও স্কুলগুলোতে সব সময় জঙ্গীবাদ রুখতে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে থাকেন। এছাড়া জনসেবামুলক কর্মকান্ডে ওতপ্রোতভাবে আর্থিক সহযোগিতাসহ অংশগ্রহণ করে থাকেন। তিনি বলেন বাংলা আমার দেশ,আমার ভাষা বাংলা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আমার নেতা,গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার নেত্রী। শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে তার নেতৃত্বে দেশকে জঙ্গীবাদ মোকাবেলায় আমি অঙ্গীকারাবদ্ধ। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সেবা নিশ্চিত করতে,শেখ হাসিনার শাসনামলকে সমুজ্জল রাখতে,আমার সোনার বাংলাদেশ থেকে জঙ্গী চিরতরে উৎপাটন করতে জনগনকে সাথে নিয়ে আমি ঐক্যবদ্ধ।
পরিশেষে এলাকাবাসীর দাবী কুতুবউদ্দিন হত্যার হুকুমদাতা মুখোশধারী ঘাতকদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করছে। পাশাপাশি নিহতের স্বজনরা এই হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ তদন্ত ও আসামী গ্রেফতারে মাননীয় সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমানের সহায়তা চেয়েছেন।
