বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জের কালীরবাজার স্বর্নপট্টি এলাকায় বেড়েছে চুরি কমেছে ডাকাতি। স্বর্নপট্টিতে বেশ কয়েকবার বড় ধরনের ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতি থেকে বাঁচতে স্বর্নের দোকানের মালিকরা নিরাপত্তার স্বার্থে ২৪ ঘন্টা পুলিশী পাহাড়ার ব্যবস্থা করেছে। সেই সাথে সমস্ত মার্কেটে আনা হয়েছে সিসি ক্যামেরার আওতায়। বর্তমানে ডাকাতি কমলেও বেড়ে গেছে কৌশলগত চুরি। এ যেন অপরাধীরা স্বর্ন লোট করতে ভিন্ন রুপ ধারন করেছে। প্রায় স্বর্নপট্টি এলাকায় এমন চুরির ঘটনা ঘটছে। তেমনই এক ঘটনা গত ৭ নভেম্বর দুপুর ২ টায় আল তাজিম জুয়েলার্স নামে দোকানে দিন দুপুরে চারজন মহিলা মিলে প্রায় ৭০ ভরি স্বর্নের চেইন চুরি করে নিয়ে যায়।
দোকান মালিক সূত্রে জানা যায়, ওইদিন দুইজন মহিলা বোরকার মুখোষ পড়া আর অপর দুইজন মহিলা মুখোষ ছাড়া ছিল। মুখোষ ছাড়া মহিলা দুইজন দোকানের কর্মচারী জুম্মানকে স্বর্নালংকার দেখানোর ছলে ব্যস্ত রাখে। অপর দুইজন মুখোষ পড়া মহিলার একজন মহিলা জুম্মানের অগুচরে কৌশলে দোকানের সুকেজের উপর দিয়ে হাত দিয়ে সিন্ধুকের ভিতর থেকে ৯০ পিছ চেইনসহ ব্যাগ চুরি করে। এখানে ৭০ ভরি ওজনের স্বর্ন ছিল যার আনুমানিক মূল্য ৩৫ লাখ টাকা। পরে সিসি ক্যামোর ফুটেজ দেখে আসামী সনাক্ত করেন দোকান মালিক। এ ঘটনায় মার্কেট মালিকদের সাথে আলাপ করে সদর মডেল থানায় ওই চারজন মহিলার নামে একটি চুরি মামলা দায়ের করেন দোকান মালিক।
এদিকে গত ১১ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭ টায় সিঙ্গাপুর জুয়েলার্স নামক দোকান থেকে দুইজন মহিলা স্বর্ন চুরি করে। পরে সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে তাদের সনাক্ত করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরের দিন ১২ নভেম্বর মামলার প্রধান আসামী বিলকিস বেগমকে আটক করে পুলিশ। আটককৃত আসামী বিলকিস সাতক্ষীরা জেলার কাশেমপুর গ্রামের জসিম মিয়ার স্ত্রী। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এই দুই দোকানের চুরি ওই মহিলা চক্রটি করে বলে সনাক্ত করে দোকান মালিকরা। বর্তমানে আসামী বিলকিসকে তিন দিনের রিমান্ড মুঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরন করেন আদালত ্।
ঘটনার অনুসন্ধ্যানে জানা যায়, এই সক্রিও চোর চক্রটি মামলা থেকে বাঁচতে ইতিমধ্যে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে। তাদের বাঁচাতে মাঠে নেমেছে একটি প্রভাবশালী মহল। এদিকে ঘটনায় দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও চোর চক্রের বাকি সদস্যদের আটক করতে পারছেনা পুলিশ। সেই সাথে চুরি হওয়া ৭০ ভরি স্বর্নের এখন পর্যন্ত উদ্ধার করতে পারিনি।
স্বর্ন দোকান মালিকরা জেলা পুলিশের কাছে চোর চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। সেই সাথে চুরি হওয়া ৭০ ভরি স্বর্ন দ্রুত উদ্ধার করার জন্য হস্তক্ষেপ কামনা করছে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর মডেল থানার এসআই শহিদুল ইসলাম জানান, এই মামলার তদন্ত চলছে। মামলার তথ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি। আসামীদের গ্রেফতার ও মালমাল উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।