নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৫ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন উপলক্ষে ১২ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র আহ্বায়ক কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু’র আয়োজনে মিলাদ মাহফিলটি ছিল একটি স্মরনীয় অনুষ্ঠান।খানপুর মসজিদ আবাসিক এলাকায় সাধারণ জনগন নারী-পুরুষ সহ নারায়ণগঞ্জের বিএনপি’র বেশীরভাগ নেতার অংশগ্রহনে অনুষ্ঠানে ছিল উপচে পরা ভীড়। তাদের উপচে পরা ভীড়ে এই অনুষ্ঠিত মিলাদ মাহফিলটি হয়ে উঠে এক বিশাল জনসভা। যা বিএনপি’র এই খারাপ সময়ে এতো লোকের অংশগ্রহন খুবই কঠিন বিষয়। যেখানে বিএনপি’র অন্যান্য অনুষ্ঠানে এত লোকের অংশগ্রহন নেই বলেই চলে। ১২ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র আহ্বায়ক কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকুর এমন আয়োজনকে সাধুবাদ না জানিয়ে কিছু সার্থন্বেশী মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে দাবি নারায়ণগঞ্জ বিএনপি’র নেতৃবৃন্দের। তারা আরো দাবি জানান, মঙ্গলবার শহীদ জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ মাহফিলে পুলিশ যখন অনুষ্টানটি বন্ধ করতে চেষ্টা চালায় তখন শত শত জনগন আর নেতাকর্মীদের অংশগ্রহনের কারনে পুলিশ অনুষ্ঠানটি বন্ধ করতে পারেননি। শওকত হাশেম শকুর কারনে সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে নেতাকর্মীরা ওই দিন একত্রিত হয়েছিল। শকুর মত উদ্যোগ নিয়ে অন্যান্য নেতাদের সকলকে একত্রিত করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান দলের নেতাকর্মীরা। 
এ বিষয়ে শওকত হাশেম শকুর সাথে কথা বললে তিনি জানান, বাসায় বসে জাম্বুরা গাছ চর্চা না করে বন্দর ইউপি নির্বাচনে বিএনপি’র সকল নেতাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে কাজ করতে হবে। কিছু নেতার কারনে বিএনপি’র আজ খারাপ অবস্থা। তাই আমার দলের সিনিয়র নেতাদের প্রতি আহ্বান সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে আপনারা উদ্যোগ নিয়ে সকল নেতাকর্মীদের একত্রিত করুন। এসময় দলের নেতাকর্মীদের উদ্যোশে বলেন, নারায়ণগঞ্জ বিএনপি’র এই খারাপ সময়ে ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। আমাদের একত্রিত হয়ে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বাদ আছর নারায়ণগঞ্জের খানপুর এলাকায় নাসিক ১২ নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে শহীদ জিয়াউর রহমানের ৩৫ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ ও তবারক বিতরণ করা হয়েছিল। সিটি কর্পোরেশনের ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও নগর বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক শওকত হাশেম শকু এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসিবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাড. আবুল কালাম ও বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও বিএনপি নেতা নুর ইসলাম সরদার, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খাঁন, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল , বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও বিএনপি নেতা সামাল সরদার, মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল্লাহ তপন , নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি অ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু , নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজিব, নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষক দলের সভাপতি উজ্জ্বল হোসেন, মহানগর ছাএদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাউছার আশা , মহানগর মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক পারভেজ মল্লিক, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ওলামা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মান্নান সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।
এসময় বক্তরা বলেন, আমরা এমন এক নেতার আদর্শের সৈনিক যার দেশ পরিচালনায় বয়স হয়েছিল মাত্র সাড়ে তিন বছর। তিনি এই সাড়ে তিন বছরে আমাদের দেশের মানুষের জন্য কাজ করেছেন । জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠিত করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ( বি এন পি । জিয়াউর রহমান মানে সততা ও শক্তি। আমরা তার সততা ও শক্তিতে কাজ করবো। জিয়া মানে ঐক্যবদ্ধ তাই সে নেতা কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান করে গেছেন । তাই আজ আমরা নারায়ণগঞ্জ বিএনপি নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হয়েছি এক টেবিলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের মানুষের জন্য গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন । তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা দেন এবং নিজে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেন আর উপহার দেন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ । কিন্তু এই ফ্যাসিবাদী সরকার আমাদের নেতা জিয়াউর রহমানের নামে অরাজনৈতিক কথা বার্তা বলেন । আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের গনতন্ত্র কে হত্যা করেছে । হত্যা করেছে এদেশের ষোল কোটি মানুষের ভোটের অধিকার । আজ দেশে একতন্ত্র রাজনীতি চলছে জনগণ তাদের মতামত পেশ করতে পারছে না । ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন দলীয় করনের মাধ্যমে চলছে অনিয়ম । আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীদের নৌকা প্রতিককে বিজয়ী করতে নানান ধরনের অনিয়ম সৃষ্টি করছে। নিজেরাই নৌকা মার্কা সীল দিয়ে বিজয়ী করেছেন দলীয় প্রার্থীদের । জিয়াউর রহমান শাহাদাৎ বার্ষিকীতে মাধ্যমে আসুন আমরা সবাই নারায়ণগঞ্জে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ হই আর এক সাথে দলের জন্য মাঠে কাজ করি । আমরা দিরগো ছয় বছর পর একসাথে এক টেবিলে ঐক্যবদ্ধভাবে মিলিত হয়েছি ও এক সাথে কাজ করতে চাই । কিন্তু সিনিয়র নেতৃবৃন্দ আমাদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে রাখতে হবে । সিনিয়র নেতৃবৃন্দ আমাদের সেই আশ্চর্য ও সাহস দিতে হবে । তাহলে আমরা ছাএদল, যুবদল অন্যান্য সংগঠন একত্রিত হয়ে পনের দিনের মধ্যেই এই আওয়ামী লীগ জালিম সরকারের পতন ঘটাতে পারবো।
কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু সভাপতির বক্তব্যে বলেছেন, সোনারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীরা যখন নির্বাচন বয়কট করেন তখন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সভাপতি অ্যাড. তৈমুর আলম খন্দকার তার বাড়িতে জাম্বুরা গাছের চর্চা করেন । এই হল আমাদের নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সভাপতি। যিনি দলের খারাপ সময়ে দলের পাশে না থেকে বাসায় বসে জাম্বুরা গাছের চর্চা করেন। তাদের মত নেতাদের কারনে নারায়ণগঞ্জের বিএনপি এখন লাইফে সাপোর্টে। আজকে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৫ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে সাবেক এমপি অ্যাড. আবুল কালাম ভাই সহ দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ একত্রিত হয়েছি। আমরা চাই আপনারা আমাদের নেতৃত্বে দেন যাতে আমরা আপনাদের নেতৃত্বে দলের খারাপ সময়ে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি।