বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেডের প্রধান ফটকের দেয়াল ঘেঁষে একটি প্রভাবশালী মহল রেলওয়ের সম্পত্তি দখল করে অবৈধভাবে গড়ে তুলেছে অর্ধশতাধিক দোকানপাট। এ অবৈধ দোকান ভাড়া দিয়ে প্রতিমাসে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এ সব দোকানগুলোতে আদমজী ইপিজেডের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে নেয়ার জন্য সন্ত্রাসীদের অবস্থান করতে দেখা যাচ্ছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন। ফলে ইপিজেডে কর্মরত তিন শতাধিক বিদেশীসহ ৫০ হাজার শ্রমিকের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ-আদমজী ইপিজেড-শিমরাইল সড়কের পাশে আদমজী ইপিজেডের প্রধান ফটকের দেয়াল ঘেঁষে একটি প্রভাবশালী মহল রেলওয়ের সম্পত্তি দখল করে অবৈধভাবে দোকানপাট বসিয়েছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রেলওয়ের জায়গায় মোহাম্মাদীয় হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্ট, আল-মদিনা হোটেল, আজমেরি হোটেলসহ বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্ট, কনফেকশনারী, চা-বিস্কুট ও ফ্ল্যাক্সিলোড, আলাউদ্দিন ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপসহ অর্ধশত দোকানপাট গড়ে উঠেছে। এ সকল দোকানপাট থেকে ওই প্রভাবশালী মহল প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এ হোটেলসহ
দোকানপাটগুলোতে সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। এতে আদমজী ইপিজেডে কর্মরত তিন শতাধিক বিদেশীসহ ৫০ হাজার শ্রমিক-কর্মচারীদের নিরাপত্তা বিঘিœত হচ্ছে। আদমজী ইপিজেডের পাশের কদমতলী এলাকার বাসিন্দা আব্দুল বারেক জানান, ইপিজেডের দেয়াল ঘেঁষে গড়ে ওঠা দোকানপাটগুলোতে সন্ত্রাসীরা আড্ডাস্থলে পরিণত করেছে। ইপিজেডের ঝুটসহ বিভিন্ন ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নিতেই সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত এখানে মহড়া দিচ্ছে।
এ বিষয়ে আদমজী ইপিজেডের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) আশরাফুল কবীর জানান, আদমজী ইপিজেডের প্রধান গেটের পাশেই গড়ে উঠা দোকানপাটগুলো সম্পুর্ণ অবৈধ। জায়গাটি রেলওয়ের। দোকানপাটের কারণে ইপিজেডের কর্মরত বিদেশীসহ শ্রমিকদের নিরাপত্তা হুমকি কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, এ অবৈধ দোকানপাটগুলো উচ্ছেদ করা প্রয়োজন। আমরা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে উচ্ছেদ করার জন্য বলেছি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের ভূ-সম্পত্তি বিভাগের সহকারী ভূ-সম্পদ কর্মকর্তা কাজী মোঃ হাবিব উল্ল্যাহ জানান, সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় রেলওয়ের কোন জমিই লিজ দেয়া হয়নি। আদমজী ইপিজেডের পাশেই গড়ে ওঠা দোকানপাটগুলো সম্পূর্ণ অবৈধ। নারায়ণগঞ্জের কোন জায়গা কৃষি লিজ দেয়া যাবে না। দিলে দিতে হবে বাণিজ্যিক লিজ দিতে হবে। বাণিজ্যিক লিজ দেয়ার ক্ষমতা আমাদের বিভাগের কারো নেই। রেল মন্ত্রণালয় লিজ দিতে পারে। রেল মন্ত্রণালয় লিজের অনুমোদন দেয়ার পরে টেন্ডার হবে। টেন্ডারের মাধ্যমে লিজ দেয়া হবে। সুতরাং সিদ্ধিরগঞ্জের কোথাও রেলওয়ের সম্পত্তি লিজ দেয়া হয়নি। যারা দোকানপাট ও স্থাপনা নির্মাণ করেছে তারা সবাই অবৈধ। এলাকার শান্তি শৃংখলা রক্ষা করতে কিংবা কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য ইপিজেড দেয়াল ঘেঁসে থাকা অবৈধ দোকান পাট উচ্ছেদের দাবি স্থানীয় এলাকাবাসীর।