বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের দুর্গম এলাকা কালাপাহাড়িয়ায় মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজমের ইউনিটের কনস্টেবল রুবেল মাহামুদ (সুমন) কে হত্যার ৯ মাসের মাথায় তার লাশ ফের ময়নাতদন্তের জন্য রোববার দুপুরে উত্তোলন করা হয়েছে।
এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আড়াইহাজার উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ান-উল-ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ ডিবির এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার খালেদা নাজনিনসহ স্থানীয় ও জেলা আইনশৃঙ্খলা বাহীনির বিভিন্ন স্তরের ১৬ সদস্যের উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ১৪ মে নারায়ণগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাব্বি মিয়া লাশ উত্তোলনের আদেশ দেন। বাদী পক্ষের আইনজীবি সোলেমান মিয়া পারুল জানান, ময়নাতদন্ত রিপোর্টে নিহতের শরীরিরে সাতটি আঘাতের চিহৃ রয়েছে বলে উল্লেখ্য করা হয়েছে। কিন্তু সুরতহাল রিপোর্টে পুলিশ উল্লেখ্য করেছিল ১৫টি চিহৃ। আসামিদের রক্ষা করতে পরিকল্পিতভাবে আটটি আঘাত বাদ দিয়ে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। এতে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য আদালতে লাশ উত্তোলনের আবেদন করা হয়। এসময় মামলার বাদী কামাল হোসেন সরকারের কাছে সুবিচার দাবী করে জানান, মামলার প্রধান আসামি কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম স্বপনের বিরুদ্ধে আদালত থেকে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হয়েছে। পলাতক থেকেও তার পরিবারের লোকজনকে নানাভাবে হুমকী-ধমকী দিচ্ছেন। তিনি আরও জানান, তাদের অব্যাহত হুকমীর কারনে মামলার বাদীসহ পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন।
প্রসঙ্গত গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর কোরবানির পশুর হাটের ইজারার টাকা ভাগবাটোয়ারা ও এলাকায় আধিপত্য নিয়ে বিরোধের জের ধরে কালাপাহাড়িয়ায় সন্ত্রাসীরা পুলিশ কনস্টেবল রুবেল মাহামুদ সুমনের বাড়িতে ঢুকে তাকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজমের ইউনিটে কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়িতে এসেছিলেন। যাহার বেজ নং-২২১৪১। নিহত রুবেল কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রুপ মিয়ার ছেলে। একই ঘটনায় ওইদিন আহত হয়েছিলেন খোকন, রুবেল, জামির, শাহীনুর, সুজন, শিমুল, শাওন, ইসমাইল, আলমগীর, রুপ মিয়া ও হাসিমুনসহ অন্তত ২০ জন। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই কামাল হোসেন কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম স্বপকে প্রধান আসামি করাসহ ৩২ জনকে নামে একটি হত্যা মামলা করেন। আড়াইহাজার থানায় মামলা নং -১(৯) ১৭ইং।