বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ লিয়াকত হোসেন খোকা বলেন, আমারদের প্রতিটা মানুষের ভেতরে এ ফিলিংটা থাকতে হবে। আমাদের বুঝতে হবে মাদক এসমাজটাকে ধংস করে দিচ্ছে। একজন চোরও বুঝে, চুরি করা পাপ। কিন্তু তা জেনেও চোর চুরি করে, তার সন্তানের ভবিষযেতর কথা চিন্ত করে। আর এ মাদকের জন্য আমার সামাজিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। আমার পরিবারের ক্ষতি হচ্ছে। স্বাধীনতা বিরোধী একটি চক্র জঙ্গীবাদকে উছিলা করে চক্রান্ত করছে। তা আমাদের বুঝতে হবে। আপনারা শয়তানকে চেনেন। শয়তান হল, সমাজে যারা খারাপ কাজ করে তারাই শয়তান। ইসলামে কোথাও নাই, মানুষ মারা জিহাদ। ইসলাম বলেন নাই কাউকে হত্যা করো। কারো ক্ষতি করো। ইসলাম শয়তানের বিরুদ্ধে লড়তে বলছে। আল্লাহ পাক যদি আমাদের সাথে থাকেন, তাহলে কোন শয়তান আমাদের ক্ষতি করতে পারবে না। শয়তানধারা পরিচালিত সমস্ত কাজ পরিহার করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তাই আসুন আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শয়তানদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াই।
বুধবার সকাল ১১টায় সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় কাঁচপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোশাররফ ওমরের উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জে সদ্য যোগদান করা পুলিশ সুপারের পরিচিতি এবং জঙ্গী ও মাদক বিরোধী সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সোনারগাঁও থানার অফিসার্স ইন্চাজ শাহ মোঃ মঞ্জুর কাদেরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ লিয়াকত হোসেন খোকা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলায় সদ্য যোগদান করা পুলিশ সুপার মঈনুল হক। সোনারগাঁও থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাসেল মাহমুদের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহকারী পুলিশ সুপার ফোরকান সিকদার, সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট শামসুল ইসলাম ভূইয়া, কাঁচপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোশাররফ ওমর, অধ্যক্ষ মমতাজ উদ্দিন মুর্তজা, সোনারগাঁও থানা কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি গাজী মজিবুর রহমান, যুগান্তরের ষ্টাফ রিপোর্টার আল-আমিন তুষার, কাঁচপুর ওমর আলী স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ শহিদুল ইসলাম মজুমদার, যুবলীগ নেতা বাবুল ওমর বাবু, থানা কমিউনিটি পুলিশের যুগ্ম সম্পাদক সাইদুল ইসলাম শহিদ, সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য মোরশেদা বেগম। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁও থানা আওয়ামীলীগের নেতা ডাঃ আবু জাফর বিরু, জামপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি গোলাম মোস্তাফ, সোনারগাঁও থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাজী নূর আলম খান, যুবলীগ নেতা ফারুক ওমর ও সুহিনসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, মসজিদের ইমাম, সুশিল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ।