বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
আজ সোমবার খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত “খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী” কার্যক্রম নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় “সরকারি সহায়তা ব্যবস্থাপনা সিস্টেম” অ্যাপস এর মাধ্যমে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে সর্বমোট ১৩,৯৮২ জন উপকারভোগীর মাঝে ২৪ জন ডিলারের মাধ্যমে মাসিক ৩০ কেজি চাল ১০ টাকা দরে প্রত্যেক তালিকাভুক্ত উপকারভোগীর মাঝে বিক্রি করা শুরু হয়েছে।
উক্ত অ্যাপস এর মাধ্যমে ডিলার স্মার্টফোন ব্যবহার করে উপকারভোগীর কার্ড এর কিউ-আর কোড স্ক্যান করার মাধ্যমে উপকারভোগীর মাঝে চাল বিক্রি ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন করছেন এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেই তথ্য সার্ভারে চলে যাচ্ছে। উক্ত এ কর্মসূচীর শুভ উদ্বোধন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলার সম্মানিত জেলা প্রশাসক মোঃ জসিম উদ্দিন। জেলা প্রশাসক নারায়ণগঞ্জ জেলার অন্য ৪টি উপজেলায় সদর উপজেলার মত স্মার্ট কার্ড এর মাধ্যমে চাল বিতরণ কার্যক্রম শীঘ্রই শুরু করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন।
“সরকারি সহায়তা ব্যবস্থাপনা সিস্টেম” অ্যাপস ব্যবহারের মাধ্যমে সরকারি সহায়তা ডিজিটাল উপায়ে অভাবী মানুষের কাছে পৌঁছাবে যার মাধ্যমে সরকারি সহায়তা বিতরণে বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি ঠেকানো যাবে। তাছাড়া এ পদ্ধতিতে তালিকাভুক্ত ব্যক্তির বাইরে অন্য কেউ কিউ-আর কার্ড ব্যতীত চাল কিনতে পারবে না এবং ডিলাররাও একজন উপকারভোগীর জন্য বরাদ্দকৃত চাল আরেকজন উপকারভোগীর কাছে বিক্রি করতে পারবেন না।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার, ইউপি সচিব, ইউডিসি উদ্যোক্তা সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যে কিউ-আর কার্ড এবং “সরকারি সহায়তা ব্যবস্থাপনা সিস্টেম” ব্যবহার করে খাদ্য অধিদপ্তরের “খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী” চালু হওয়ার ফলে বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা ও অনিয়ম ইতি ঘটবে।
এসময় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা বারিকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মাইন উদ্দিন, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আক্তার হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আইয়ূুব আলী, কাশীপুর আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুল কৃষ্ণ সাহা, মেম্বার পলাশ. চালের ডিলার আল আমিন সহ অন্যান্যরা।
ইতঃপূর্বে করোনা সংকটকালীন সময়ে গত ২৩/০৫/২০২০ তারিখ শনিবার নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার, ইউপি সচিব, ইউডিসি উদ্যোক্তা সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যে কিউ-আর কার্ড এবং “সরকারি সহায়তা ব্যবস্থাপনা সিস্টেম” ব্যবহারের মাধ্যমে খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত “বিশেষ ওএমএস” কার্যক্রম উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের সর্বমোট ৫,০০০ জন উপকারভোগীর মাঝে ৪ জন ডিলারের মাধ্যমে মাসিক ২০ কেজি চাল ১০ টাকা দরে বিক্রয়ের উদ্যোগ গৃহীত হয়েছিল যা অন্যান্য উপজেলার জন্য দৃষ্টান্ত রয়েছে।