নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নাসিকের ঠিকাদার মাসুম (৩৮)সহ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের বৃদ্ধা ও শিশুসহ আহত ৭। ঠিকাদার মাসুমের লোকজন ক্ষুদ্ধ হয়ে প্রতিপক্ষ ঝুট ব্যবসায়ী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল ইসলাম বুলবুলের বাড়ীতে হামলা ভাংচুর উভয় পক্ষের থানায় পাল্টা পাল্টি অভিযোগ দায়ের। এলাকায় বিরাজ করছে চরম আতংক। গত শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারী) বিকাল সাড়ে ৫টায় মাদানীনগর ব্রীজ থেকে নিমাইকাশারী এলাকার সিকোটেক্স গার্মেন্টস পর্যন্ত নাসিকের ড্রেন নির্মান কাজে বাইব্রেটার চালানোর জন্য বিদ্যুতের সংযোগ দেয়াকে কেন্দ্র করে ঠিকাদার মাসুমের সাথে নিমাইকাশারী গফুর মার্কেটের জননী ক্রোকারিজের মালিক আফসার উদ্দিনের সাথে তর্ক বিতর্কের জেড় ধরে এ ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, নাসিকের ঠিকাদার মাসুমের মালিকানা প্রতিষ্ঠানের অধিনে নাসিক ৩নং ওয়ার্ডের মাদানীনগর ব্রীজ থেকে নিমাইকাশারী সিকোটেক্স গার্মেন্টস পর্যন্ত একটি ড্রেনের কাজ চলছে। ঐ ড্রেন নির্মানের ঢালাই কাজে ব্যহৃত বাইব্রেটার মেশিন চালানোর জন্য নিমাইকাশারী এলাকার গফুর মার্কেটের ক্রোকারিজ ব্যবসায়ী আফসার উদ্দিনের (৪৫) দোকান থেকে বিদ্যুতের সংযোগ নেয় মাসুম। দুই দিন সংযোগ ব্যবহার করার পর আফসার বিদ্যুতের লাইনটি অন্য দোকান থেকে নিয়ে ব্যবহার কথা বলে। এতে ঠিকাদার মাসুম তার ছোট ভাই মামুন (৩৩) এবং তার বাবা হাজী হাবিবুর রহমান ক্ষুদ্ধ হয়ে তাকে বেধরক মারধর করে। এতে মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে রক্তাক্ত জখম হয় আফসার। তখন তার নিকট আত্মীয় লোকজন এগিয়ে আসলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় ঠিকাদার মাসুম,তার ভাই ও বাবা রক্তাক্ত জখম হয়। এখবর ছড়িয়ে পরলে মাসুমের লোকজন ক্ষুদ্ধ হয়ে তাদের প্রতিবেশী আফসারের শ্বশুর বাড়ীতে হামলা চালিয়ে তার চাচা শ্বশুর শহিদুল ইসলাম বুলবুলের বাড়ীতে ভাংচুর চালায়। হামলায় আফসারের শ্বাশুরী সোনাবান বেগম (৫০) মাথায় রক্তাক্ত গুরুতর জখমসহ দাদী শ্বাশুরী ফুলমালা ছায়েদ (৮০) ও চাচা শ্বশুর শহিদুল ইসলাম বুলবুলের ছেলে ৭ম শ্রেনীর ছাত্র সাজ্জাতুল ইসলাম তুর্য আহত হয়। ঊভয় পক্ষের আহতদের নারায়ণগঞ্জ খানপুর ৩’শ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মাসুম বাদী হয়ে হয়ে ৬১ লাখ টাকা ছিনতাইর ঘটনায় এবং আফসারের দোকানে ও শ্বশুর বাড়ীতে হামলা ভাংচুর লুটপাট ও মারধরের ঘটনায় পৃথক দু’টি অভিযোগ দায়ের করে।
এব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় উভয় পক্ষ পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেছে। এলাকাবাসী স্থানীয় ভাবে মিমাংসার দায়িত্ব নেয়ায় এখনো মামলা রুজু হয়নি।