বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার দাবিতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে শনিবার বিকাল ৫টায় চাষাড়াস্থ শহীদ মিনারে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বাসদের জেলা সমন্বয়ক নিখিল দাসের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবি জেলা সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ চক্রবর্তী, বাসদ নেতা আবু নাঈম খান বিপ্লব, সেলিম মাহমুদ, সিপিবি নেতা আব্দুল হাই শরীফ, নারী নেত্রী শাহানারা বেগম, ইকবাল হোসেন প্রমুখ। সমাবেশে শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহর প্রদক্ষিন করে।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ নির্বাহী পদে থেকে সংবিধানের মৌল চেতনাকে ধারন না করে হেফাজত ইসলামের ভাস্কর্য অপসারনের দাবীকে সমর্থন প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযুদ্ধের চেনতা বিরোধী এবং সংবিধানের মৌল চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক। মুর্তি ও ভাস্কর্য এক নয়। ভাস্কর্য ইতিহাস ঐতিহ্যের প্রতীক। ভাস্কর্য ইরান, ইরাক, সৌদি আরব, মিশর, ইন্দোনেশিয়ার মত মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলোতেও রয়েছে। হেফাজতে ইসলাম সৌদি বাদশাহর মুর্তি সরানোর কথা বলে না, বলে বাংলাদেশের ভাস্কর্য সরানোর কথা। আসলে এদের উদ্দেশ্য হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাহী ভাস্কর্যগুলো ভেঙ্গে ফেলা, এদেশে তালেবানী শাসন কায়েম করা। হেফাজতের দাবী অনুযায়ী বর্তমান সরকার পাঠ্যপুস্তকে প্রগতিশীল লেখকদের লেখা বাদ দিয়েছে, যা হেফাজতের নিকট বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের নিকৃষ্ট আত্মসমর্পণ ছাড়া আর কিছুই নয়।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, একটি সাম্প্রদায়িক, শোষনমূলক পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াই করে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ১৯৭২ সালের সংবিধানের মূলমন্ত্র ছিল, ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ। ফলে রফিউর রাব্বি সঠিক কথাই বলেছেন-সাম্প্রদায়িক ও লুটপাটের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য সেইদিন মুক্তিযোদ্ধারা জীবন দেয়নি। নেতৃবৃন্দ রফিউর রাব্বির বিরুদ্ধে হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশকে ধ্বংস করার আওয়ামী-হেফাজতী চক্রান্তকে প্রতিহত করার জন্য জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।