স্টাফ রিপোর্টার,বিজয় বার্তা ২৪
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় আতাউর রহমান ননী ও মোঃ ওবায়দুল হক তাহেরকে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো) আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে সকালে নেত্রকোনার কারাগার থেকে আতাউর রহমান ননী ও মোঃ ওবায়দুল হক তাহেরকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। প্রথমে তাদের ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় রাখা হয়।
পরে ট্রাইব্যুনালে আসামির কাঠগড়ায় তোলা হয়। এরপর ২৬৮ পৃষ্ঠার রায় পড়া শুরু করেন ট্রাইব্যুনাল।
ওবায়দুল হক তাহের ও আতাউর রহমান ননীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের ৬টি অভিযোগের মধ্যে ৪টি প্রমাণিত হয়েছে।
এদিকে রায়কে ঘিরে সকাল থেকে সুপ্রিম কোর্ট ও এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
গত ১০ জানুয়ারি উভয়পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়েছিল।
তাদের বিরুদ্ধে একাত্তরে নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা, নির্যাতন, অপহরণ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগসহ ৬ ধরনের অভিযোগ রয়েছে।
ও মোঃ ওবায়দুল হক তাহেরের বাড়ি নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার ভোগড়া গ্রামে এবং আতাউর রহমান ননীর বাড়ি একই জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কচন্দরা গ্রামে।
২০১৪ সালের ১২ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। ওইদিন বিকালে শহরের মোক্তারপাড়ার সাবেক ফুটবলার ননী ও তেরীবাজারের ব্যবসায়ী তাহেরকে গ্রেফতার করে নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশ।
পরে তাদের ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। পরদিন হাজির করা হলে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
২০১৪ সালের ৫ নভেম্বর তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে তদন্ত সংস্থা। এরপর একই বছরের ১১ ডিসেম্বর ননী-তাহেরের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল।
গত বছর ২ মার্চ এ ২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্যদিয়ে বিচার শুরু হয়। ননী-তাহেরের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তাসহ ২৩ জন সাক্ষী। আসামিদের পক্ষে একজন সাফাই সাক্ষীর নাম দেয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তাকে হাজির করা হয়নি।