বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
একটা অবয়ব দেখি বারংবার
তাকে ছুতে চেয়ে ছোঁয়া হয় না আর।
একটা আবছা অবয়ব,
এলেই কাছে ইচ্ছে করে
দিয়ে দেই তাকে সব।
অথচ সে ধরা দেয় না,দেখা দেয় না
শুধু কাছে এসে দিয়ে যায় অস্পষ্টতা।
কোন এক জোৎস্না স্নাত রাতে
সে তার অস্পষ্ট অবয়ব নিয়ে
আমার সামনে এসে দেখা দিলো
একটা সাদা শাড়িতে মোড়ানো ছিলো,
যেন স্বর্গের দেবী আজ মর্ত্বে নেমেছে
তা শুধুই আমার জন্যে।
তার মুখশ্রীর কী বর্ণনা দেবো আমি
এ কবিতায়? শব্দ চয়নে তার রুপ ব্যাখ্যার হতে পারে অনেক ভুল।
হঠাৎ তার মুখনীঃসৃত একটি
উচ্চারন এতো কর্ণদ্বারে,
“আমাকে সাজাও”
একটা রক্ত জবায় আমি তার
চরণে আলতা রঙে আল্পনা আঁকলাম।
তার বাহু ডোরে পরিয়ে দিলাম
জোনাকিদের চুর, মাথায়
সেটে দিলাম পঞ্চফুলের মুকুট
আর কপলে একেদিলাম তারে
একখানা উষ্ণচুম্বন।
বললাম, তোমায় সাজাবার মত সম্বল
আমার কাছে যে আর নেই।
আমি শূন্য মানব,
সে বললে, তবে দাও এবার বিসর্জন।
বিসর্জনেই হোক আমার পরিসমাপ্তি
তোমার কাছে নেই যে কোন প্রাপ্তি।
না! বিসর্জনই যদি দিতেম তবে
কেন তোমায় এতো অলঙ্কৃত করা?
তুমি দেবি হতে পরো তবে,
বিসর্জন তোমার প্রাপ্তি নয়
হৃদাঙ্গিনার পবিত্র মণ্ডপে করিবো
তোমার স্থাপন,
করিবো পূজা তোমায় দেবি
কিন্তু দেবো না বিসর্জন।