বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জ বিএনপির মনোনয়নে নির্বাচিত বেশ কয়েকজন উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়রম্যানের বিরদ্ধে সরকারি দলের সঙ্গে লিয়াঁজো করে চলার অভিযোগ উঠেছে। সরকারি দলের নেতাদের খুশি করতে তারা বিএনপির দলীয় কর্মসূচি এড়িয়ে চলছেন। এমনকি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক কর্মী সংগ্রহের ফর্ম বিতরন কর্মসূচীতেও তাদের দেখা যাচ্ছে না। ফলে দলের শৃঙ্খলা ভেঙ্গে পড়ছে বলে মনে করছেন বিএনপির নেতা-কর্মী ও শুভাকাঙ্খীরা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শুধু আওয়ামী লীগের সঙ্গে লিয়াঁজোই নয়, বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচিত নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস বিএনপির হরতাল অবরোধ চলাকালে কোন ধরনের কর্মসূচী পালন করতে দেখা যায়নি। উল্টো আওয়ামীলীগের বিভিন্ন কর্মসূচীতে তার সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে এমনকি আওয়ামীলীগের সাংসদ শামীম ওসমানের প্রশংসা করে বিভিন্ন বক্তব্য প্রদান করতেও দেখা গেছে। এরপর থেকে নেতাকর্মীদের সমালোচনার মুখে পড়েন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস। জেলা বিএনপির নেতা আকা বিশ্বাস দলীয় কর্মসূচী পালনে বিগত বছরেও দলীয় কোনো কর্মসূচিতে অংশ নেননি বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির নেতারা। এসময়ে দলও তার বির”দ্ধে কোনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়নি।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনির”ল আলম সেন্টুকে বিএনপি সমর্থন দিলেও দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করতে অনীহা প্রকাশ করেছে। অভিযোগ রয়েছে আওয়ামীলীগের সমর্থন নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সেন্টু নির্বাচনের মাধ্যমে জয়লাভ করেন। এমনকি ক্ষমতার আসিনে থাকার জন্য সেন্টু নিজ দলের কর্মসূচিতেও দেখা যায়নি তেমন একটা।
এদিকে সামনে একাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মনির”ল আলম সেন্টু এবং সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস দলের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি করার পায়তারা করে আসছে বলে অভিযোগ করেছে তৃনমূল বিএনপির নেতাকর্মীরা। এমনকি জেলা বিএনপির ফর্ম বিতরন কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মনির”ল আলম সেন্টু কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র নেতাকর্মীদের সামনেই দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের শায়েস্তা করা হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারন করেন। এনিয়ে তৃনমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। সে সাথে বিএনপি নেতা মনির”ল আলম সেন্টুকে যেখানেই পাওয়া যাবে সেখানেই গণধোলাই দেয়া হবে বলে হুশিয়ারীও উচ্চারন করা হয়।
অপরদিকে জেলা বিএনপি নেতা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাসকে দলীয় কর্মসূচী পালনে মাঠে দেখা না গেলেও আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে তার। এমনকি নিজ স্বার্থ হাছিল করার জন্য বিএনপি নেতা আকা বিশ্বাস দলের তৃনমূল নেতাকর্মীদের অবজ্ঞা করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। সামনে একাদশ নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বলেও উল্লেখিত দুই বিভিন্ন নেতার বির”দ্ধে বিস্তর অভিযোগ তুলে ধরেন তৃনমূল বিএনপির নেতৃবৃন্দ। আগামিতে হাইব্রীড বিএনপির এ ধরনের সুবিধাবাদী নেতারা যাতে করে দলীয় সুবিধা নিতে না পারে এজন্য দলের সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।