বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
ফতুল্লার পঞ্চবটি এলাকায় গফুর সুপার মার্কেটের কর্তৃপক্ষের সাথে চেয়ারম্যানের হাতাহাতির ঘটনার ৪দিন পেরিয়ে গেলেও দোকান খুলতে পারেনি শতাধিক ব্যবসায়ী। বৃহস্পতিবার সকালে ব্যবসায়ীরা দোকান খুলতে গেলে তেড়ে আসে মেম্বার সালাউদ্দিন,শহিদুল্লা আর মহিলা মেম্বার তাসলিমাসহ চেয়ারম্যানের কয়েকজন সমর্থক। আদালতের জারী করা ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে ইউপি মেম্বার সালাউদ্দিন বৃহস্পতিবারও সেখানে কাজ চালিয়ে যায়। এ অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দিতে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশও ব্যর্থ হওয়ায় ব্যবসায়ীদের আতঙ্ক আরো বেড়ে গেছে।
গত ৩০ নভেম্বর তারিখে গফুর সুপার মার্কেটের মালিক মাসুদ ভূইয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নারায়নগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত নালিশা ভূমিতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ফতুল্লা মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ প্রদান করেন। এতে এনায়েতনগর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান,বর্তমান মেম্বার সালাউদ্দিন ও সাবেক মেম্বার শহিদুল্লাকে আসামী করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, পঞ্চবটি এলাকায় গফুর সুপার মার্কেটের সামনে জেলা পরিষদের জায়গা নিয়মমাফিক লীজ নিয়ে ব্যবহার করে আসছে মার্কেট কর্তৃপক্ষ। এর পাশেই সালাউদ্দিনের ভাই আলাউদ্দিনের মার্কেটের সামনেও রয়েছে অনুরূপ জায়গা। ইউপি মেম্বারপদে বিজয়ী হয়ে আওয়ামীলীগ নেতা সালাউদ্দিন পঞ্চবটি মোড়ের পার্কিং করা যানবাহন থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে আসছে। সম্প্রতি গফুর সুপার মাকেৃটের সামনে জায়গার দিকে নজর পড়ে সালাউদ্দিন ও ইউপি চেযারম্যান আসাদুজ্জামানের। তারা উঠেপড়ে লাগে স্ট্রান্ডের অজুহাতে জায়গাটি দখলে নিতে। অনেকদিন যাবত পরিকল্পনা করে ফাযদা হাসিল করতে না পেরে পঞ্চবটি থেকে ধর্মগঞ্জ -চটলার মাঠ হয়ে পর্যন্ত সড়ক ও ড্রেন নির্মানের প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় সুযোগ চলে আসে তাদের।
গত ২৮ নভেম্বর সোমবার বিকালে এনায়েতনগর ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামানের সাথে গফুর মার্কেটের মালিকদের হাতাহাতির ঘটনার পর মামলা দায়েরসহ ভাংচুর,অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায় চেয়ারম্যান সমর্থকরা। পরবর্তীতে টানা ৩দিন ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রমও বন্ধ রেখে সাধারন জনগনকে ভোগান্তির মধ্যে রাখেন ৫ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বাররা। এ ঘটনা মীমাংসার জন্যে শিল্পপতি মোহাম্মদ আলীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যাক্তিরা চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হন। এ অবস্থায় নিরাপত্তার দাবীতে গফুর মার্কেট মালিকপক্ষ আদালতের আশ্রয় নিলে তারও পরোয়া করছে না জমি দখলের পায়তারাকারী চক্রটি।
তবে চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বরাবরই দোকান বন্ধ রাখতে বাধ্য করার বিষয়টি অস্বীকার করে আসছেন। এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি কামালউদ্দিন জানান,জায়গাটিতে আদালতের ১৪৪ ধারা জারি হওয়ার কাগজ পেয়েছি। দোকানের নিরাপত্তার জন্যে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কেউ বাড়াবাড়ির চেষ্টা করলে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।