নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে দাবিকৃত যৌতুকের দুই লাখ টাকা না দেয়ায় পাষন্ড স্বামী মুন্নী বেগম (২৭) নামে এক গৃহবধুকে জ্বলন্ত সিগারেটের ছেকা দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, স্বামীসহ শশুরবাড়ির লোকজন ওই গৃহবধুকে কুপিয়ে ও লাঠিপেটাসহ বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছে। সোমবার সকালে উপজেলার শিমুলিয়া এলাকায় ঘটে এ নির্যাতনের ঘটনা। গৃহবধু মুন্নী বেগম কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার বেন্দ্রীবাজার এলাকার মৃত মালেক ড্রাইভারের মেয়ে।
নির্যাতনের শিকার মুন্নী বেগম জানান, গত ১৩ বছর পুর্বে শিমুলিয়া এলাকার সৈয়দ তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে সেলিম মিয়ার সঙ্গে মুন্নী বেগমের ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়েতে ঘর নির্মানের জন্য বাপের বাড়ি থেকে দুই লাখ টাকা যৌতুক দেয়া হয়। বিয়ের পর তাদের দুই সন্তানকে নিয়ে সংসার ভালো ভাবে কাটছিলো। গত দুই মাস আগে স্বামী সেলিম মিয়াসহ শশুর বাড়ির লোকজন মালয়েশিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে ফের দুই লাখ টাকা দাবি করে। দাবিকৃত টাকা দিতে না পাড়ায় সেলিম মিয়া সিমা আক্তার নামে আরেক মহিলাকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকেই স্বামীসহ ননদ বিলকিস, তাসলিমা মুন্নী বেগমকে নানা ভাবে শারিরিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে। গত রোববার রাতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ঝলন্ত সিগারেটের ছেকা দেয়া হয় মুন্নী বেগমকে। এছাড়া সোমবার সকালে বটি দিয়ে কুপিয়ে ও লাঠিপেটা করে আহত করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এছাড়া বেশ কয়েক দিন আগে গৃহবধু মুন্নী বেগমকে হত্যার উদ্দেশ্যে পার্শবতী শীতলক্ষ্যা নদীতে নিয়ে যায় স্বামীসহ শশুর বাড়ির লোকজন। পরে তার আতœচিৎকারে আশ-পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে প্রানে বেঁচে যান তিনি। এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (ওসি/তদন্ত) এবিএম মেহেদী মাসুদ বলেন, এ ধরনের ঘটনার একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।