বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
অবশেষে বন্দরের সেই ইঞ্জিনিয়ার ফারুক ওরফে ৩৬০ এঙ্গেল ফারুক(৫৫)। ঋৃনের বোঝা সইতে না পেরে আত্নহত্যা করেছেন। রোববার বিকেলে রাজধানীর মগবজারস্থ চলন্ত ট্রেনে ঝাপ দিয়ে আত্নহত্যা করেন বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার স্ত্রী পলি বেগম। নিহত ইঞ্জিনিয়ার ফারুক বন্দরের নাসিক ২৩নং ওয়ার্ডের ৫১২/৩উইলসন রোড এলাকার মৃত রকিব হোসেনের পুত্র। সে ২ কন্যা সন্তানের জনক। এর আগে তিনি পাওনাদারদের ভয়ে বেশ কয়েকদিন যাবত অন্যত্র আত্নগোপনে ছিলেন। তার পরিবার থেকে আরো জানানো হয়,স্থানীয় পাওনাদাররা তাকে বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করছিল। এতে সে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। এমনকি পাওনাদারদের মধ্য থেকে মিয়া সোহেল নামে জনৈক ব্যবসায়ীর মোবাইলে ম্যাসেজ পাঠানো হয় যে যদি তাকে অতিরিক্ত চাপ দেয়া হয় তাহলে সে আত্নহত্যা করতে বাধ্য হবে। এরপর পরই সে রোববার বিকেলে মগবাজারে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাপ দিয়ে আত্নহত্যা করে। পরে রেলওয়ে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। খবর পেয়ে স্বজনরা তার দ্বি-খন্ডিত দেহ মর্গ থেকে নিয়ে আসে। প্রকাশ থাকে যে,ইঞ্জিনিয়ার ফারুক আহমেদ বেশ কিছুদিন ধরে তার নিজ বাড়িতে ৩৬০ এঙ্গেল নামক অর্থলগ্নি একটি অফিস খুলে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। এদের মধ্যে স্থানীয় প্রভাবশালী মিয়া সোহেলও প্রায় কোটি ৩৭লাখ টাকা ওই প্রতিষ্ঠানে লগ্নি দেয়। এক পর্যায়ে ইঞ্জিনিয়ার ফারুক প্রতিষ্ঠানের সমস্ত অর্থ আত্নসাৎ করে। গ্রাহকরা তাদের টাকার জন্য ফারুককে চাপ দিলে সে নানাভাবে টালবাহানা করে। গ্রাহকদের মধ্যে জনৈক বশির তার বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির মামলা করলে পুলিশ ওই মামলা তাকে গ্রেফতারও করে। পরবর্তীতে জামিনে বেরিয়ে সে আত্নগোপন করে। আত্নগোপনে থাকার পরও মিয়ার সোহেলসহ গ্রাহকরা তাকে চাপ দিলে সে মিয়া সোহেলের মোবাইল ফোনে তাকে টাকার জন্য জন্য চাপ সৃষ্টি করা হলে সে আত্নহত্যা করবে বলে এই মর্মে গত শুক্রবার একটি ম্যাসেজ সেন্ড করেন। ম্যাসেজ সেন্ডের দু’দিন পরই রোববার বিকেলে সে মগবাজার এলাকায় চলন্ত ট্রেনের ঝাপ দিলে তার দেহ দু’খন্ড হয়ে যায়।