বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জের সাংসদ ভ্রাতৃদ্ধয় একে এম সেলিম ওসমান এবং শামীম ওসমানকে নিয়ে কুরুচীপূর্ন অডিও প্রকাশ পাওয়ার পর জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগ এবং ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এড.খোকন সাহা এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদা মালাকে বহিষ্কারের দাবিতে প্রচারনাসহ দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগে দলের সিনিয়র নেতাদের প্রতি দাবি জানান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে পাল্টা পাল্টি অভিযোগ ও একে অপরের পক্ষে বিভিন্ন উষ্কানিমূলক স্ট্যাটাসে উত্তপ্ত হতে থাকে নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গন। এমনকি স্থাণীয় একটি গণমাধ্যমে সাংসদ শামীম ওসমানকে ইঙ্গিত করে মহানগর আওয়ামীলীগ নেত্রী মাহামুদা মালার বক্তব্যে এবার ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে ফতুল্লার তৃনমূল পর্যায়ের আওয়ামী ও যুবলীগের নেতৃবৃন্দ। নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের দক্ষ রাজনৈতিক ব্যাক্তি সাংসদ শামীম ওসমানের মাধ্যমে যে সকল মীর জাফর ও ঘষেটি বেগমের চরিত্রে অবর্তীন হওয়া মাহামুদা মালার মতো বেঈমান কতৃক তৃণমূল্যের প্রানের নেতা সাংসদ শামীম ওসমানকে নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের শক্ত হাতে দমন করার জন্য ফতুল্লার সিনিয়র নেতাদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় বসে থাকেনি। ফতুল্লার তৃনমূল আওয়ামী যুবলীগের নেতৃবৃন্দ মহানগর আওয়ামীলীগ নেতা খোকন সাহাকে মীর জাফর এবং মাহামুদা মালাকে ঘষেটি বেগম উল্লেখ্য করে ফতুল্লার মাটিতে তাদের অবাঞ্চিত ঘোষনাসহ দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান। সে সাথে সুবিধাভোগী এ ধরনের নেতৃবৃন্দ নারায়ণগঞ্জের ঘাটিঁ হিসেবে পরিচিতি আওয়ামীলীগকে ধ্বংস করার জন্য কোন অপশক্তির সাথে জড়িয়ে পড়েছে কিনা এ বিষয়ে খতিয়ে দেখার জন্য দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।
সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর যুব মহিলালীগের পাল্টা পাল্টি কমিটিকে কেন্দ্র করে দলীয় কোন্দলে জড়িয়ে পড়েন মহানগর আওয়ামীলীগের নেতা এড.খোকন সাহা এবং মাহমুদা মালা। কমিটিকে ইস্যু করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাংসদ শামীম ওসমানকে ইঙ্গিত করে বিভিন্ন বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে দলীয় কোন্দলের বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামীলীগ নেতা খোকন সাহা এবং মাহামুদা মালাকে বৎসনা করে মহানগর ছাত্রলীগ ও স্থাণীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন প্রচারনা চালায়। এর কিছুদিন পরেই সাংসদ ভ্রাতৃদ্ধয় সেলিম ওসমান এবং শামীম ওসমানকে নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করার একটি অডিও প্রকাশিত হওয়ার পর পরই উত্তপ্ত হয়ে উঠে নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গন। স্থাণীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ খোকন সাহা এবং মাহমুদা মালাকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবিসহ কয়েকটি এলাকায় অবাঞ্চিত ঘোষনা করে বিবৃতি দিতে থাকে।
এ ব্যাপারে ফতুল্লা থানা যুবলীগের দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোঃইদ্রিস জানান, গত কয়েকদিন ধরেই নারায়ণগঞ্জের প্রানপুরুষ সাংসদ শামীম ওসমানকে ইঙ্গিত করে নীতিবাচক মন্তব্য করে যাচ্ছে দলের দালালখ্যাত নেতা হিসেবে চিহ্নিত খোকন সাহা এবং কথিত নারী নেত্রী মাহামুদা মালা। এমনকি সাংসদ ভ্রাতৃদ্ধয়কে নিয়ে কুরুচীপূর্ণ কথাবার্তার একটি অডিও ইতিমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে। খোকন সাহার মত একজন দায়িত্বশীল নেতার দ্ধারা এমন বক্তব্য কাম্য নয়। আর সাংসদ শামীম ওসমানের দয়ায় প্রতিষ্ঠিত নেতা খোকন সাহা এবং মাহামুদা মালা যে ধরনের বক্তব্য প্রদান করছে এতে করে আমার মনে হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির সাথে আতাঁতের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগকে ধ্বংসের পায়তারা চালাচ্ছে। যদি এমনটি হয় তাহলে খোকন সাহা ও মালাকে দাতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে। সে সাথে আজকের পর থেকে মীরজাফর ও ঘষেটি বেগমের চরিত্রে অবর্তীন হওয়া এ ধরনের বেঈমানদের ফতুল্লার মাটিতে অবাঞ্চিত ঘোষনা করা হলো।
এনায়েতনগর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মোঃ সোহেল সর্দার জানান, সাংসদ ভ্রাতৃদ্ধয়কে নিয়ে মহানগর আওয়ামীলীগ নেতা খোকন সাহা এবং মাহামুদা মালার অশ্লীল কুরুচীপূর্ণ বক্তব্য বে মানান। এ ধরনের সুবিধাবাদী নেতাদের দলে থাকার অধিকার নেই। তারা আওয়ামীলীগকে ধ্বংসের মিশনে নেমেছে। নারায়ণগঞ্জের মাটি আওয়ামীলীগের ঘাটি হিসেবে পরিনত করেছেন সাংসদ শামীম ওসমান। সাংসদ শামীম ওসমানের কঠোর হস্তক্ষেপে আজকে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামীলীগের রাজনীতি। আর ঐক্যবদ্ধ আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে ফাটল ধরানোর জন্যই পরিকল্পিতভাবে খোকন সাহা ও মালার মত কথিত নারী নেত্রীরা দল ধ্বংসের মিশনে নেমেছেন। কথিত এই লেবাসধারী নেতাদের ষড়যন্ত্র কঠোর হাতে দমন করার জন্য ফতুল্লা আওয়ামী যুবলীগের তৃনমূলের নেতারাই যথেষ্ট।
ফতুল্লা ইউনিয়ন যুবলীগের ১,২,৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারন সম্পাদক শেখ মেহেদী হাসান শাহীন জানান, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমানের বলিষ্ট নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের রাজনীতি। উন্নয়নের রূপকার সাংসদ শামীম ওসমানকে নিয়ে মীরজাফর খোকন সাহা এবং ঘষেটি বেগম মালার মত কথিত রাজনীতিবীদরা আজকে নারায়ণগঞ্জে প্রতিষ্ঠিত। আর এই ধরনের মীরজাফরা নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগকে ধ্বংসের মিশনে নেমেছে। অবৈধ অর্থের মোহে কথিত নেতা খোকন সাহা এবং মহিলা নেত্রী মাহামুদা মালা যত বড় ষড়যন্ত্র করুক না কেন শামীম ওসমানের সৈনিকরা শক্ত হাাতে মোকাবেলা করবে। সে সাথে মীর জাফর জাতীয় নেতা এবং ঘষেটি বেগম জাতীয় নেতাদের ফতুল্লার যেখানেই দেখা যাবে সেখানেই গণপিটুনি দেয়া হবে বলেও ঘোষনা করেন।