বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর মনোনয়নপ্রত্যাশীদের বিভিন্ন কর্মকান্ড আর নেতা-কর্মীকে চাঙা রাখতে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের নির্বাচনী এলাকা। আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা মাঠে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। নিজ নিজ অবস্থান থেকে নেতা-কর্মীদের ইতোমধ্যেই সক্রিয় করে ফেলেছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচারণায় বাড়তি যোগ হয়েছে সদস্য সংগ্রহে ফরম বিতরনে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের আসার সংবাদ।
মনোনয়নপ্রত্যাশীরা ইতিমধ্যে দলের তৃনমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা, উঠান বৈঠক, দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের বিভিন্ন দিক নির্দেশনার মাধ্যমে দলীয় কোন্দল নিরসনে সর্বত্র চেষ্টাসহ মাঠপর্যায়ে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন সম্ভ্যাব্য প্রার্থীরা। তবে প্রচারণায় বা দল গোছাতে বিএনপি প্রার্থীরাও কম নয়। তারাও সদস্য সংগ্রহ কার্য্যক্রম পুরোদমে চালাচ্ছে। তবে সদস্য সংগ্রহ কার্য্যক্রম চলাকালে ছাত্রদলের দুইগ্রুপের দ্ধন্ধে বিএনপির মধ্যে দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসলেও নির্বাচনের আগ মুহুর্তে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে বলে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ দাবি করেছেন। তাছাড়া বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা থাকায় এলাকায় সুবিধা করতে পারছেন না বলেও জানিয়েছেন তারা। উভয় দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের কাছে ঘুর ঘুর করছে নেতা-কর্মীরাও। এদিকে রাস্তার মোড়ে, নগর-বন্দর, হাট-বাজার, হোটেল-রেষ্টুরেন্টসহ বিভিন্ন মহলে চলছে নির্বাচনি আলোচনা-সমালোচনা। মনোনয়ন পেতে জেলার নেতৃবৃন্দ থেকে দলের হাইকমান্ডেও চালাচ্ছে জোর লবিয়িং। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তালিকায় স্থানীয়পর্যায়ের নেতা থেকে দলের সিনিয়র নেতাদের নাম উঠে এসেছে। স্থানীয় নেতা থেকে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও একাধিক দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নাম। রয়েছেন কেন্দ্রীয় সাবেক ছাত্রনেতা ও ব্যবসায়ী।
নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) থানা নিয়ে এ আসনটি সব সময়ই আওয়ামী লীগ অধ্যুষিত এবং নৌকা এগিয়ে। কিন্তু বর্তমান ক্ষমতাশীনদের দলীয় কোন্দল চরমে থাকায় বিএনপি সুযোগ নিতে পারে। কিন্তু বিএনপি প্রার্থীদের তেমন একটা মাঠে দেখা যায় না। এ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের বর্তমান সাংসদ একেএম শামীম ওসমান। এমপি থাকাকালীন সময়ে তার নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক উন্œয়ন করেছেন। দলীয় কোন্দলে কোনঠাসা থাকা দলটিকে একক পতাকাতলে আনকে সক্ষম হয়েছে তার দক্ষ নেতৃত্বের ফলে। তবে গত কয়েকদিন ধরে কিছু মীরজাফর জাতীয় নেতা দলের ভিতর কোন্দল সৃষ্টিতে চেষ্টা করে যাচ্ছে। ঐ মীরজাফর জাতীয় নেতারা যে কোন মূল্যে সাংসদ শামীম ওসমানকে ঠেকাও মিশনে নেমেছেন। তবে গত সোমবার ফতুল্লার বাংলাভবন কমিউনিটি সেন্টারে দলের সকল নেতাকর্মীদের সাথে এক আলোচনা সভায় দলীয় নেতৃবৃন্দের স্ফুতস্ফত উপস্থিতি মীরজাফর জাতীয় সকল ষড়যন্ত্র নসাৎ করে দিয়েছে বলে সভায় যোগদানরত একাধিক নেতৃবৃন্দ তাদের মতামতে জানান। তারপরেও এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীতায় আসতে পারে নতুন মুখ। তার পরে মনোনয়ন দৌড়ে যারা এগিয়ে আছেন তারা হলেন কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের শ্রম কল্যান ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব কাউছার আহাম্মেদ পলাশ, এশিয়ান টিভির মালিক বিশিষ্ট শিল্পপতি হারুন অর রশীদ।
বিএনপি দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ শাহ্ আলম এবং সাবেক এমপি আলহাজ্ব মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন। তবে এ আসনের বিএনপি প্রার্থীদের মধ্যে এলাকায় থেকে নেতা-কর্মীর পাশে থেকে কাজ করছেন সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দীন আর শাহ্ আলম ঢাকায় অবস্থান করায় দলীয় কর্মসূচিতে তেমন একটা অংশ নিতে এলাকায় আসেন না বলেও অভিযোগ নেতা-কর্মীদের। আর শিল্পাঞ্চলখ্যাত এ আসনে কেন্দ্র আওয়ামীলীগের নতুন প্রার্থীকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করার সুযোগ দিলে এর সুবিধা নিতে পারে বিএনপি এমনটাই ধারনা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।