নারায়ণগঞ্জ,বিজয বার্তা ২৪
আড়াইহাজারে এক গার্মেন্টস শ্রমিককে তার সহযাত্রী সহ আটক করে গণধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ধর্ষিতা ও তার পরিবার সুত্রে জানাগেছে, গত ৩১ জানুয়ারী রবিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার দুপ্তারা এলাকার কাজরী টাওয়ারে অবস্থিত এরনিক কালেকশন নামে একটি গার্মেন্টস এর নারী শ্রমিক(১৪) তার কাজ শেষে তার মায়ের বান্ধবির ছেলে সোহানের সাথে তার বাড়ি পাঁচগাও করপাড়া এলাকার উদেশ্যে ফিরছিল। পথিমধ্যে সত্যবান্দি নয়াপাড়া এলাকায় আসলে স্থানীয় কয়েকজন যুবক তাদের দুইজনকে আটক করে । পরে হাসিনা বেগম নামের এক মহিলার টিনসেট দালালে নিয়ে একটি কক্ষে নিয়ে সোহানকে পিটিয়ে আহত করে ছেড়ে দেয়। ৩/৪জন যুবক পরে নারী শ্রমিককে ঐ কক্ষে নিয়ে জোর করে গণধর্ষণ করে। পরে ধর্ষিতাকে ভয়ভিতি দেখাইয়া তাকে ধর্ষণ করা হয়নি বলে তার মুখ থেকে স্বীকারোক্তি মোবাইলে রেকর্ড করে রাখে ধর্ষণকারীরা। পরবর্তীতে ধষিতাকে রাস্তায় এনে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঐ রাতে ১১ টার দিকে খবর পেয়ে ধর্ষিতার মা দুপ্তারা ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ শিপ্রা রানী দাস উপজেলার কালিবাড়ি এলাকা থেকে তার মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
ধর্ষিতা তাৎক্ষনিক ধর্ষণের কথা তার পরিবারকে না জানালেও তার রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় সোমবার বিকালে তার পরিবারকে ধর্ষনের কথা জানালে মঙ্গলবার ধর্ষিতার মা তার মেয়েকে আড়্ইাহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিতে নিয়ে আসলে হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে প্রেরন করে। মঙ্গলবার বিকালে ধর্ষিতা আড়াইহাজার থানায় এসে অভিযোগ করলে পুলিশ বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং ঐ বাড়ির মামুন(২২),রাজিব প্রধান(২০),মোমেলা বেগম(২৫),বিউটি(২৪)ও হেনা(৩২)কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। আড়াইহাজার থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান,ধর্ষণের ঘটনাটি তদন্ত চলছে। ধর্ষণের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে বলেও জানান।