বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, ‘হাওরে এতো বড় ঢল হয়েছে কিন্তু শেখ হাসিনা প্রতিটি মানুষের খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। উনি বলেছেন আপনাদের পাশে আছি। আমরা মোবাইল টেলিফোনের বিজ্ঞাপনে দেখি কাছে কাছে আছি পাশে আছি।’
আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে শুক্রবার বিকেল ৩ টার দিকে সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুর ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে জাতীয় শ্রমিক লীগ কাঁচপুর শিল্পাঞ্চল শাখার উদ্যোগে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মতিয়া আরো বলেন, ‘শেখ হাসিনা কাছে আছেন, পাশে আছেন। হাওরের দুর্দশাগ্রস্ত মানুষকে মমতাময়ী মায়ের মতো বুকে জড়িয়ে ধরে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। তিনি গণতন্ত্র রক্ষা করছেন, মানুষের অধিকার রক্ষা করছেন।’
উক্ত অনুষ্ঠানে জাতীয় শ্রমিক লীগ কাঁচপুর শিল্পাঞ্চল শাখার সভাপতি আব্দুল মান্নান মেম্বার’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেনন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের অন্যতম সদস্য কৃষি মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সাংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সার, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন,পিরোজপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জাকির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আহম্মদ আলী তানভীর প্রমূূখ।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘আপনারা কি ভুলে গেছেন বিএনপির আগুন সন্ত্রাসের কথা। বাচ্চা নিয়ে স্কুলে যাচ্ছিল মা সেই রিকশায় পেট্রলবোমা মেরে বিএনপির সন্ত্রাসীরা বাচ্চাকে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে। গাজীপুর জয়দেবপুর চৌরাস্তায় গ্রাম থেকে আসা এক লোক বাচ্চাকে নিয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। বাচ্চাকে একটি ভ্যানগাড়িতে বসিয়ে পরিবহন খুঁজছিলেন। কিন্তু বিএনপির সন্ত্রাসীরা ওই ভ্যানগাড়িতে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে বাচ্চাকে পুড়িয়ে মেরেছে। বাবার চোখের সামনে সন্তান আগুনে দগ্ধ হয় তখন একজন বাবার কী অবস্থা হয়।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘সেই দিন আমি মহান জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলাম বেগম খালেদা জিয়া আপনি যেভাবে দেশের সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করছেন এই পাপের প্রায়শ্চিত্ত আপনাকে করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার হচ্ছে শ্রমিকবান্ধব সরকার। অন্যান্য সরকার মালিকের পক্ষ হয়ে মজুরি নিয়ে শ্রমিকের সাথে দরকষাকষি করে। আর শেখ হাসিনা শ্রমিকের পক্ষ হয়ে মালিকের সাথে মজুরি নির্ধারণ নিয়ে দরকষাকষি করে।’
মতিয়া বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকারই শ্রমিকের মজুরি ১৬০০ টাকা থেকে দুই ধাপে বাড়িয়ে ন্যূনতম মজুরি পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা নির্ধারণ করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘১৯৯১ সালে বিএনপির সরকারের সময় শ্রমিকরা মজুরির জন্য আন্দোলন করলে শ্রমিকদের দমনের নামে ১৮ জন শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। ঠিক একইভাবে ২০০১ সালে শ্রমিককের ওপর নির্মম নির্যাতন করা হয়েছিল।’